যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানান অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীনের নেতৃত্বে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) একটি টিম।
অভিযান পরিচালনা টিম সূত্রে জানা গেছে, অভিযান চলাকালে হাসপাতালের ১১ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন চিকিৎসক বদলি হয়েছেন ও একজন ছুটিতে আছেন। তবুও ৯ জন চিকিৎসকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৮ জন। এছাড়া চিকিৎসক মাহামুদুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন না। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা পায় দুদক কর্মকর্তারা। এসময় খাবার সরবরাহে চরম অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। ডায়েট চার্ট অনুযায়ী প্রতি রোগী দুইবারে ১২৯ গ্রাম রুই মাছ দেবার কথা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া গেছে ৬৮ গ্রামের পোনা মাছ। হাসপাতালে ৫০ জন রোগীর জন্য ৬ কেজি ৪৬০ গ্রাম রুই মাছ সরবরাহ করার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৩ কেজি ৪০০ গ্রাম যা নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৩.৬ কেজি কম। সকালে রোগীদের পাউরুটি, ডিম, কলা ও চিনি দেবার কথা থাকলেও এযাবৎকালে কোন রোগী চিনি পায়নি বলে দুদক কর্মকর্তারা জানান। এছাড়া রোগীদেরকে মুশরী ডাল দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় নিম্ন মানের ডাল। ডিমের সাইজ একেবারই ছোট বলে তারা জানিয়েছেন। তিনশত দশ টাকা দামের মুরগী দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয় পৌল্ট্রি মুরগী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারি পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী, জালাল উদ্দিন ও তাওহিদুল ইসলাম ও উপদরিদর্শক মিহির মন্ডল।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আলিমুর রাজিব বলেন, খাবারের বিষয়ে বারবার ঠিকাদারকে শতর্ক করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। ফলে আমি জেলা সিভিল সার্জন স্যারকে বিসয়টি জানায়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। আজ দুদক কর্মকর্তারা এসে খাবারে নানা রকম অনিয়ম পায়।
সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমীন বলেন,’ অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবারসহ নানা বিষয়ে অনিয়ম পেয়েছি। এসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কমিশনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’