(সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সলঙ্গায় কিশোর গ্যাং লিডার মাদক ও অনুমোদনহীন ঔষধ কারবারির মহিবুল্লাহ্ সবুজের ওয়াকিটকি উদ্ধার হয়নি এখন
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাদক ও ভেজাল ঔষধ তৈরীর কারখানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মব তৈরী করে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হলেও জামিনে নিয়ে আবারও সংঘবদ্ধ হচ্ছে মহিবুল্লাহর কিশোর গ্যাং।
মামলার নামিক আসামীদের মধ্য তিনজন জামিন পেলেও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় সলঙ্গা থানা পুলিশ। গ্যাংয়ের বাকি সদস্যরা এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। দীর্ঘদিন ধরে মহিবুল্লাহ্ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পুরান বেড়া এলাকাসহ সলঙ্গা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন। আনুমোদনহীন ঔষধ ও মাদক কারবার পরিচালনা করার জন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব কিশোর গ্যাং, রয়েছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকিও।
নির্জন বাগানের এক কোনে তার এসব ব্যবসা পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি ঘর। সেখানে নিয়মিতই রাত হলে বসত মাদকের আড্ডা। পুলিশ বা অপরিচিত কেউ এলাকায় ডুকলে ওয়াকিটকির মাধ্যমে খবর পৌছে যেত তার সেই ঘরে। মূহুর্তেই সবাই সটকে পরতেন সেখান থেকে।
এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, মুহিবুল্লাহ্র কাছে ওয়াকিটকি সেট আছে। আমারা মাঝে মধ্যেই তার হাতে ওয়াকিটকি সেট দেখেছি। সাংবাদিকদের হামলার ঘটনার পর জামিন নিয়ে এসে মহিবুল্লাহ্ সবুজ এলাকায় ঘোষনা দিয়েছে যে, আমাকে কেউই কিছুই করতে পারে না। আপনারা দেখেছেন। এর পর এলাকার কেউ কিছু বললে তাকেউ ছাড় দেওয়া হবে না।
এ ঘটনার পর এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
মহিবুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। নিজের গাড়ি নিজেই পুরিয়ে সলঙ্গার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের জরিমানাও নিয়েছেন। তার বোনকে দিয়ে এলাকার একাধিক মানুষকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে নিয়েছেন মোটা অংকের জরিমানাও।
একসময় হোটেলে কাজ করত এই মহিবুল্লাহর মা ও বোন। মহিবুল্লাহ্ সবুজ ও কিছুদিন সলঙ্গা বাজারের প্রথমে নাপিতের কাজ করে পরে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সেজে বসেন। এর পর থেকেই বেপোরোয়া মহিবুল্লাহ্ সবুজ, বিয়েও করেছেন বেশ কয়েকটি।
এখন অবৈধ ব্যবসা করে রাতারাতি কিনেছেন প্রাইভেট কার, মটর সাইকেল, করেছেন নতুন বাড়ি, রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের বিশাল সিন্ডিকেট আর এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য কিনেছেন ওয়াকিটকি সেটও।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ রোড, হাটিকুমরুল, ও সলঙ্গা এলাকায় গত কয়েকমাসে ডিবি, ও পুলিশ পরিচয়ে একাধিক ছিনতাই হলেও ধরাছোয়ার বাইরে মহিবুল্লাহ সবুজ ও তার গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির জানান,আমি সবে মাত্রই এসেছি, তেমন কিছুই জানানেই, মামলার বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।