সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
জেলার সর্ববৃহৎ বালু মহাল যাদুকাটা নদী আইনি জটিলতায় বন্ধ থাকলেও বন্ধ থাকেনি লাউড়ের ঘড় ছড়ার পাড়ের বালু খেকুরা। তারা রাতের আধারে ড্রেজার এবং দিনের বেলায় বেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করে তাদের বাড়ির সামনে এবং পিছনে হাজার হাজার ফুট বালু জমাট করে রেখেছে এযেন দেখার কেউ নেই।
শনিবার স্বজমিনে গিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে যানাযায় আবাহমান কাল থেকে উত্তর মুকশেদপুর হতে লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ হয়ে যাদুকাটা নদীতে পতিত হয়েছে এই ছড়াটি।কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতকারী আওয়ামী লীগের দোসর এই ছড়াটি থেকে বালু উত্তলন করে নিয়ে যাওয়ার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ছড়ার পাড়ের বসতবাড়ি সহ পঞ্চাশ গজ দুরে থাকা একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয়টি।তারা বলেছেন এই ছড়াটি থেকে বালু উত্তলনের ফলে পাহাড়ি ঢল যখন যাদুকাটা নদীতে প্রবাহিত হবে তখন এই ছড়াটি দিয়ে পানি প্রবেশ করে উত্তর মুকশেদপুর, দক্ষিণ মুকশেদপুর, পুর্ব লাউড়েরগড় থেকে পশ্চিম লাউড়েরগড় সহ বিস্তৃর্ন এলাকার শত শত একর জমির ধান তলিয়ে গিয়ে বালিতে পলি পড়ে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।গ্রামবাসী বলেন আমরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এবং এই অবৈধভাবে উত্তলনকৃত বালুগুলো জব্দ করার অনুরোধ করছি।
নাম মা বলা শর্তে ছড়ারপাড়ের এক ভুক্তভোগী বলেছেন এখানে ড্রেজার দিয়ে বেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বিলাল মিয়া, শাহেন শাহ,রতন, হাদিস, সাদ্দাম সহ তাদের সেন্ডিকেটের লোকজন।আমরা এই পেশিশক্তি বালু খেকুদের হাত থেকে মুক্তি চাই।এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
যুবলীগ নেতা বিলাল মিয়া বলেন, আমি কোন বালু উত্তলন করিনি।আমার কোন বালু জমা নেই। আমি ব্যাবসা করি। এখানে আমি শুধু একা কেন এখানে বালু স্টক করেছে রব্বানী,রয়েল, জাহাঙ্গীর সহ আরও অনেক ব্যাবসায়ী।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় যাদুকাটা নদী এখন বন্ধ রয়েছে। অবৈধভাবে যদি কেউ বালু উত্তলন করে জমাট করে রাখে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, নদী এখন বন্ধ রয়েছে যদি কেউ রাতের আঁধারে সেইভ কিংবা ড্রেজার মেশিন চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।