শিরোনাম
সিলেটের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিলেন কাজী আখতার উল আলম সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত।  সুনামগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে” জেলার চোরাকারবারি, মাদকসহ সবধরনের অপরাধ দমন করার আশ্বাস প্রদান করেন—নবাগত পুলিশ সুপার   বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে দিরাই বিএনপির ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা সভা সুনামগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বহাল ও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন সুনামগঞ্জে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এড.নুরুল ইসলাম নুরুল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় মানিকগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মল্লিকপুর বগি লাইনচ্যুত: তেলবাহী ওয়াগন ছিলো খালি তাই হয়নি ক্ষয়ক্ষতি  বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে তালহা রেস্ট হাউজে ডিবির অ ভি যা ন ৫ জন গ্রে ফ তা র
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

জৈন্তাপুর কৃষি মেলায় চকলেট রঙের ‘অগ্নিশর কলা’: ব্যতিক্রমী কলা চাষে আলোচনায় কৃষক মো: আব্দুশ শুকুর

স্টাফ রিপোর্টার / ৮৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং লক্ষিপুর গ্রামের কৃষক মো: আব্দুশ শুকুর এবার তাক লাগিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী কলা চাষ করে। গাঢ় চকলেট রঙের এই বিশেষ কলার নাম তিনি দিয়েছেন ‘অগ্নিশর কলা’। কলাটি শুধু দেখতে নয়, খেতেও এতটাই সুস্বাদু যে এটি এখন স্থানীয় কৃষক ও দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।

মো: আব্দুশ শুকুর জানান, কিছুদিন আগে তিনি বেড়াতে যান চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি এলাকায়। সেখানকার এক দোকানে কলা কিনতে গিয়ে চোখে পড়ে একটি অদ্ভুত রঙের কলা, যার দাম ছিল ২০ টাকা মাত্র একটি। বিপরীতে দেশি কলা বিক্রি হচ্ছিল ৪টি ১০ টাকায়। কৌতূহল নিয়ে তিনি সেই কলাটি কিনে খান এবং এর স্বাদে এতটাই মুগ্ধ হন যে দোকানিকে অনুরোধ করেন একটি চারা দেওয়ার জন্য।

চোখে চোখে আগলে রাখা সেই চারা তিনি ৩০০ টাকা দিয়ে কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে জৈন্তাপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসাইন এর পরামর্শে সেটি নিজ জমিতে রোপণ করেন। প্রায় ছয় থেকে সাত মাসের মাথায় গাছে ফল আসে, এবং সেই ফল খেয়ে তিনি যেমন খুশি, তেমনি এলাকাবাসীও অবাক।

কৃষক মো: আব্দুশ শুকুর বলেন,“এই কলার স্বাদ সত্যিই আলাদা। এখন আমি নিজের খাওয়ার পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করছি। অনেকেই আমার বাড়িতে এসে চারা নিতে চাইছেন।”

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: দেলোয়ার হোসাইন বলেন, “অগ্নিশর কলা আমাদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনা। এটি শুধু ব্যতিক্রমী রঙ ও স্বাদের জন্যই নয়, স্থানীয় জলবায়ুতেও এটি সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষক শুকুর সাহস করে চারা এনে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেছেন এবং আমরা তাকে সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছি। যদি এটি বাণিজ্যিকভাবে বিস্তার লাভ করে, তাহলে এটি কৃষকদের জন্য লাভজনক একটি ফসল হয়ে উঠতে পারে।”

বর্তমানে এই কলা ও এর চারা নিয়ে স্থানীয়দের আগ্রহ তুঙ্গে। জৈন্তাপুর কৃষি প্রযুক্তি মেলায় তার স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। চারা সংগ্রহের জন্য অনেকে যোগাযোগ করছেন সরাসরি তার বাড়িতেও।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ