বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসনের অভিযান করে জব্দকৃত বালি প্রকাশ্য নিলামে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
৭ মে ২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত এ নিলামে পূর্ব চাম্বি ও সরই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জব্দ করা বালি বিক্রি করা হয়। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
নিলামে মোট ৬টি পয়েন্টের জব্দকৃত বালি বিক্রি হয়। পূর্ব চাম্বি মুসলিম পাড়া (০৯ নং ওয়ার্ড, আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদ): নিলামগ্রহীতা নুরুল আলম ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বালি কিনেছেন।
সরই ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান পাড়া হরিখাল সংলগ্ন ৩টি স্তূপ ০৭ নং ওয়ার্ডের জার্মানীয়া পাড়া ব্রিজের পার্শ্বে ৩টি স্তূপ, এবং সালাম মেম্বার পাড়ার ১টি স্তূপ জুবায়ের আলম মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা দিয়ে এ বালি ক্রয় করেন।
সরই ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের ধুইল্যা পাড়া (হারেছ চৌধুরীর প্রজেক্ট সংলগ্ন ২টি স্তূপ): নওশেদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সরই ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের কেয়াবন্যা পাড়া সংলগ্ন ১টি স্তূপ সেলিম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বালি কেনেন।
ইউএনও মো. মঈন উদ্দিন জানান, পরিবেশ ও নদী সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে গত কয়েক মাসে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অভিযান চালায়। জব্দকৃত বালি আইনানুগভাবে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ বালি উত্তোলন রোধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। নদী ও পার্বত্য এলাকার পরিবেশ রক্ষায় যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখানো হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মীরা লামা উপজেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, অবৈধ বালি উত্তোলনের কারণে নদীর তলদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। নিলামলব্ধ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে বলেও নিশ্চিত করেন ইউএনও।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বান্দরবানের পার্বত্য এলাকায় অবৈধ বালি উত্তোলন বেড়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে।
নদীভাঙন ও মাটি ক্ষয়ের মতো সমস্যা রোধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও জনসচেতনতা তৈরির তাগিদ দেন পরিবেশবিদরা। এই নিলাম পরিবেশ সংরক্ষণে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।