বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য শুচিতা শরমিনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া ও ববি রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ববির শিক্ষার্থীরা।
৪ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল, ২০২৫) দুপুর ১২:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
চার দফা দাবির অন্য দাবিগুলো হলো— ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার এবং তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা; আওয়ামী লীগের পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করা এবং ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মচারীদের অপসারণ করা।
সমাবেশে আন্দোলনরত ছাত্ররা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের মতো সম্মানিত শিক্ষককে অপমান করেছেন উপাচার্য। তাকে বেআইনিভাবে সিন্ডিকেট থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। অধ্যাপক মুহসিনকে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। বিশেষ করে রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম মনপুরা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে আবার দায়িত্বে রাখা হয়েছে, তাই তাকে অপসারণ করতে হবে।
ছাত্ররা বলেন, জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার সমর্থক, চাটুকার অনেক শিক্ষক-কর্মচারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন। উপাচার্য আবারও তাদের পুনর্বাসন করছেন। তাদের সব প্রশাসনিক ও লাভজনক কমিটি থেকে সরিয়ে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জায়গা নেই।
আন্দোলনে সম্পৃক্ত ববির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, ‘আমরা এর আগেও ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি উপাচার্যকে। কিন্তু তিনি ভ্রুক্ষেপই করেননি; যে কারণে ৪ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে।’
এছাড়াও এ দাবিতে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।