গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক রেজাউল করিম হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলো, শ্রীপুর পৌরসভার বকুলতলা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন শান্ত, উজিলাব এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে পাগলা মামুন, নেত্রকোনা জেলা সদর উপজেলার টেঙ্গা গ্রামের মৃত আলী ওসমানের ছেলে জুলহাস।
শনিবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টায় শ্রীপুর থানা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত ও অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভিকটিম রেজাউল করিম নেত্রকোনা জেলা সদর উপজেলার টাকরোনা ইউনিয়নের দুর্গাশ্রম গ্রামের এছাক মুন্সির ছেলে। তিনি গিলারচালা এলাকার এইচপি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতো। সে গাজীপুর সদর উপজেলার গিলারচালা এলাকার (মেঘনা গেইট সংলগ্ন) রুহুল আমীন তালুকদারের বাড়ীতে স্ত্রী হালিমা আক্তার এবং মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে ওই পোশাক কারখানায় চাকরি করতো।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সূজন কুমার পন্ডিত বলেন, ‘রবিবার (৯ মার্চ) শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাষ্টারবাড়ী খালের উত্তর পাশে কলা গাছের ঝোপের ভেতর থেকে হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদেরকে আসামি করে হত্যা মামলা করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিকটিম রেজাউল করিমের পরিচয় শনাক্ত করে চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা আসামিরা অপরাধচক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ কাজ করছে।’
গ্রেপ্তার করা অভিযুক্ত আসামিরা জানান, ভিকটিম রেজাউল করিম রাত সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় তাকে আটক করে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে আসামিরা। সে টাকা দিতে রাজি না হলে আসামিরা তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ গড়গড়িয়া মাষ্টারবাড়ী খালের উত্তর পাশে কলা গাছের ঝোপের ভিতর ফেলে পালিয়ে যায়।