শিরোনাম
জাফলংয়ে উপদেষ্টার গাড়ির গতিরোধ জাহিদ ও আজিরসহ ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা জাফলংয়ে উপদেষ্টাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ: ছাত্রদল সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, যুবদল নেতা বহিষ্কৃত নুনছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে ইউনিফর্ম ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ছাতকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে জমিয়তের সংবর্ধনা প্রদান    সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তি সভা অনুষ্ঠিত   সিলেটের পাথর কোয়ারি গুলো খুলে দেওয়া হবে না: বন, জলবায়ু ও পরিবেশ উপদেষ্টা শান্তিগঞ্জের বেতকোনা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে সন্তান নিয়ে যেতে পারছেন না কলি      শ্রীবরদী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় জিরা ভর্তি অটো ভ্যান আটক
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে বেগুনের জমিতে সার প্রয়োগের ফলে লক্ষ টাকার ক্ষতি কৃষকের

স্টাফ রিপোর্টার / ৮৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

রাজশাহী প্রতিনিধি:

(গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের মেসার্স তুহিন এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ মোঃ নজরুল ইসলামের দোকান থেকে নেওয়া সার জমিতে প্রয়োগ করার ফলে ১৫ কাটা জমির বেগুনে পচন ধরে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন বেগুন চাষি ইন্তাজ আলী। এলাকাবাসীর দাবি সার জমিতে প্রয়োগের ফলেই নষ্ট হয়েছে বেগুন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক ইন্তাজ আলী অভিযোগ করে বলেন, ১৫ কাটা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন তিনি। প্রতিটা গাছে বেগুন এসেছে। বেগুনের গাছ আরও বড় ও শক্তিশালী করার জন্য মেসার্স তুহিন ইন্টারপ্রাইজ সার ও কীটনাশক দোকানদার নজরুলের কাছে সার কিনতে গেলে দোকানদার তাকে ৫ কেজি ইউরিয়া ও ১০ কেজি বাংলা টিএসপি দেন জমিতে প্রয়োগের জন্য। সেটি প্রয়োগের তিন-চার দিনের মধ্যে জমির বেগুনের গাছে পচন ধরতে থাকে। এতে আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি দোকানদারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পরবর্তীতে দোকানদারকে জানালে পচনরোধে কিছু বলতে চায়নি তিনি বলেন সন্ধ্যার পরে সার প্রয়োগের কারণ তোমার বেগুন খেতের এই পরিণতি হয়েছে।

তার পার্শ্ববর্তী কৃষক পলাশ বলেন, এতো কষ্টের বিনিময়ে ফসল করার পরে সার ব্যবহার করার কারণে ফসলটা নষ্ট হয়ে গেছে। এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপর দোকানদার পচনরোধ করার জন্য কোনো তথ্য দেননি। দুর থেকে দেখলে মনে হয় না নষ্ট হয়ে গেছে জমির বেগুন। কাছে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি গাছে রয়েছে বেগুন। তবে গাছের সবগুলো বেগুন নষ্ট।

অভিযুক্ত মেসার্স তুহিন এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার নজরুল ইসলামের কাছে অভিযোগের কথা বললে তিনি বলেন, আমার দোকানে আপনারা তদন্ত করে দেখেন কোন মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সার আমার দোকানে নেই। আমার দোকানে ট্রেড লাইসেন্স আছে। আমি বৈধভাবে ব্যবসা করি। আমি কৃষকদের হয়ে কাজ করি কারন কৃষক বাঁচলেই আমরা দোকানদাররা উপকৃত হব। কারণ অনেক সময় আমাদেরকে বাকিতেও কীটনাশক বা সার দিতে হয় সেক্ষেত্রে আপনারা একটু ভেবে দেখেন আমরা কি মেয়াদ উত্তীর্ণ সার কৃষকদেরকে কিভাবে দিব এটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন থেকে গেল। আর তিনি সন্ধার পরে জমিতে সার দেওয়ার কারনে এমন হতে পারে বলেও দোকানদার জানান।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভিন লাবনী জানান, এ বিষয়ে কোনো কৃষক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে কৃষক ইন্তাজ আলীর বেগুন খেতে বিষয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হবে। পরিদর্শন শেষে পচনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ