সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
নরসিংদীর নাগরিয়াকান্দি সেতুর নীচে চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের বাগান। সূর্যমুখী তেলের বীজ হিসেবে বপণ করা সূর্যমুখী বাগান এখন বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
একদিকে কৃষকরা তেল বীজের পাশাপাশি বাগানে আসা দর্শনার্থীদের কাছ পাচ্ছেন বাড়তি আয়। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে নাগরিয়াকান্দ্র সেতু ও সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে ভীড় জমায়।
দেশে আদর্শমানের ভোজ্যতেল হিসেবে সূর্যমুখী বাগানের পরিধি যেমন বাড়ছে, তেমনি এটিকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন স্থানীয়রা। কৃষকরা সূর্যমূখী বাগান থেকে ভোজ্যতেলও পাচ্ছেন পাশাপাশি বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকেও আয় করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বয়সের দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে আসেন। বাগান ঘুরে ছবিও তোলেন।
বাগানে ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই আসতে শুরু করেন দর্শনার্থী। সূর্যমুখী বাগান করে একদিকে কমপুঁজিতে বেশি লাভ, তেমনি বাগানগুলো বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ায় আসছে বাড়তি আয়। অন্যদিকে এই বাগান ঘুরতে এসে খুশি ভ্রমণ পিপাসুরা।
পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সুজিত কুমার দাস ও গনেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ঊর্মি দাস দম্পতির সাথে কথা হলে জানান, শহরে কর্ম ব্যস্ততা ও কাজের চাপে মনটা একটু হালকা করতে স্বামীর সাথে এখানে সময় পেলেই সূর্যমুখী বাগান দেখতে আসেন। অপরুপ প্রাকৃতিক দূশ্য দেখতে ভালো লাগে। মন ও ভালো থাকে।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বয়সের নারী-পুরুষ এখানে ঘুরতে আসেন দলবেঁধে। বাগান ঘুরে ছবিও তোলেন দর্শনার্থীরা। এবার ভালো ফলন পাবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা । তার মূল লক্ষ্য- এই বাগান দেখে যেন আগামীতে চরের সবাই সূর্যমুখীর বাগান করেন।
সূর্যমুখী বীজের মাধ্যমে যে পরিশোধিত তেল পাওয়া যায় তা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। বাজারে এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। সূর্যমূখীর বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তাতে মানবদেহের ক্ষতিকর কোনো কিছু থাকে না।