হবিগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে মহা সড়কে ট্রাক ভর্তি ১২০ বস্তায় ৬য় কেজি জিরা সহ আটক ২
বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: জহবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানা এালাকার অলিপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের রাস্তার উপর থেকে ডিবি’র বিশেষ অভিযানে একটি তৈলবাহী লরি আটক করে গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের দিক নিদর্শনায় মঙ্গলবার (২৯অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টা ১০মিনিটের সময় হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি’র বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি হলুদ রংয়ের কেবিনেট টাটা ব্রান্ডের তৈলবাহী লরি গাড়ি আটক করে তল্লাশি করলে গাড়িতে পাওয়া যায় ১২০ বস্তায় ৩ হাজার ৬শ কেজি জিরা। পরে টাটা গাড়ি সহ আটক ২জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহখানেক পূর্বে এমনই একটি ঘটনা ঘটে ছিল। কিন্তু ঘটে গেল তার উল্টো। যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমি লিখেছিলাম মহা সড়কের প্রতিটি হাইওয়ে থানা পুলিশের সামন দিয়েই এই চোরাকারবারিরা আসা যাওয়া করে।
আর হাইওয়ে পুলিশ তাদের গাড়ি দাড় করিয়ে হাত বদল করে ছেড়ে দেয়ার কারণেই প্রতিদিন মহা সড়ক দিয়ে লক্ষ কোটি চোরাচালান আসা যাওয়া করতেছে।
হাইওয়ে পুলিশ যদি এ সকল গাড়ি আটক করে তল্লাশি করতো তাহলে প্রতিদিন লক্ষ কোটি টাকার চোরাই মালামাল আটক করতে পারতো। আমার এই সচেতন মূলক পোস্ট দেখে ও পড়ে দালাল ও আওয়ামী দূষর আলী বিডি নামের এক যুবক সরাসরি মম্তব্য করে বলে যে, আরে ভাই তুমি যে লেখলায় এটা ঠিক নয়।
ভারত থেকে যদি এই রাস্তায় দিয়ে মালামাল না আসে তাহলে আমাদের বাংলাদেশ অচল হয়ে পড়বে। আমরা যে মোবাইল, কাপড়, জিরা সহ আরো বিভিন্ন পন্য এভাবে না আসলে আমরা কম দামে কিভাবে ক্রয় করবো।
এগুলো সব বৈধ, আর যে দুই সাংবাদিক আজ গাড়ি আটক করেছে এখানে তাদের স্বার্থ আছে, তাই তারা আটক করেছে। ওরা আটক করলেও কিছু করতে পারবেনা। গাড়িও আসবে অবৈধ মালামালও আসবে। তার এমন মন্তব্য শুনে খুব খারাপ লাগলো।
আশপাশে আরো কয়েকজন তার আর আমার কথা শুনতেছেন। পরে উত্তোজিত হয়ে তাকে শুধু এই কথাটিই বলেছিলাম যে, আমার মনে হয় এই আন্ত:জেলা চোরাকারবারিদের সাথে তর কোন সম্পর্ক আছে।
এমন কথা বলার পর আমার ডাক্তার ভাইগনা তাকে চলে যাওয়ার জন্য বললে সে চলে যায়। এবং স্থানীয় ইউপি সদস্যের দোকানে লোক সম্মূখে বলে আমি না কি পাগল হয়ে পূর্ব বাজার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এলাকার সবাইকে গালমন্দ করতেছি।
তার এমন কথা শুনে সাথে সাথে কয়েকজন মুরুব্বি আমাকে কল দিয়ে বিষয়টি জিজ্ঞেস করেন। আমি তাদের উত্তরে বলি, আমি তো প্রায় ৪/৫ ঘন্টা ধরে ভিতর বাজার, তো পূর্ব বাজার কখন গেলাম আর গালিই বা কেন তাদেরকে দেব? পরে ঐ দালালকে তার মোবাইল ফোনে প্রায় ২০/২৫টি কল দিলেও সে রিসিভ না করে তার মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত তার বাড়িতে পালিয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট পর ফোন রিসিভ করে বলে সে বাড়ীতে চলে যাচ্ছে।
আসল কথা হলো তার মতো আরো অনেক আওয়ামী দূষররা আমাদের সঙ্গে চলাফিরা করে বিভিন্ন খবর নিয়ে দেশ বিদেশ দিয়ে দামী-দামী মোবাইল ফোন টাকা পয়সা রোজগার করছে আর দেশের মানুষের ঘরে ঘরে ফিতনা সৃষ্টি করতেছে।
তার বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়ন। তার চাচাতো বোন আমাদের গ্রামে বিয়ে দেয়ার সুবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে এখানে আসা যাওয়া ও বসবাস করতো।
কিন্তু তার বোনের ঘরের ২/৩টা সহজ সরল ভাইদেরকে টাকা সহ নানান প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ঘর থেকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন চুরি করিয়ে এনে দিতো থাকে। আর সে ৫/৬/৭/৮ হাজার যাই পায় বিক্রিয় করে তাদেরকে ২/১শ টাকা দিয়ে বিদায় করে দিত। কিন্তু যাদের ফোন বা অন্যান্য জিনিস পত্র চুরি হইতো তা তারা কাউকে বলতেও পারতো না সইতেই পারতো না।
তবে, কঘায় আছেনা চোরের দশ দিন আর গিরস্তের একদিন। আমাদের গ্রামের জব্বার চাচার ছেলে রাজুর দোকানে যান সংবাদের শিরোনাম ছিল-
“অভিনব কায়দায় মোবাইল চুরি! অত:পর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে উদ্ধার! আলী হোসেন চুরা হতে সাবধান” সংবাদের ভিতরে সে আমাদের এলাকায় কার আত্মীয় হিসাবে আসে ও যাদের পরিচয়ে।
সে পরিচিত তাদের কথাও লিখা হয়। এই সত্য সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তার আত্মীয়-স্বজনরা আমার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। একের পর এক শত্রুতা শুরু করতে থাকে। এবং তার আশ্রয় দাতা ভূমি খেকো আওয়ামী দূষর।
এই সংবাদের প্রেক্ষিতে সমাজে তার সম্মান রক্ষার্থে ১০ লক্ষ টাকার মামলা করে আমি সহ আমার দৈনিক বিবিয়ানা পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ৪ জনের বিরুদ্ধে। চুর আলী হোসেন নাকী তাদের কোন আত্মীয় নয়।
যাই হোক সত্যের বাণী- ন্যায়ের পক্ষে আর অন্যায়ের বিপক্ষে লেখে প্রতিবাদ করলে ঝড় তুলান আসবেই। কথায় আছে না- শিয়ালের ভয়ে কি মানুষ মুরগ পালা বাদ দিয়ে দিবে? সাময়িক কষ্ট সহ দূনামের শিকার কিছুদিন হতে হয়, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সব ভেঙ্গে চুরমার করে জয় করে দেন সত্যেরই, এটা প্রমানীত। যা প্রায় ১২ বছর গণমাধ্যমের সিনিয়র, জুনিয়র সহকর্মী সহ টিভি ও পত্র পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীদের সাথে অল্প স্বল্প চলাফিরা থাকার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
পরিশেষে এটাই বলতে চাই যে, দেশে এখন সত্যের পক্ষে নেই তেমন প্রতিবাদি মানুষ- সমাজের প্রভাবশালীরা আড়ালে ভাল মন্দ মন্তব্য করবে ও করে- কেউ পক্ষে আর কেউ বিপক্ষে। আবার একা পেলে বলে দোয়া আছে সত্য নিয়ে এগিয়ে যাও।
আবার অনেক শিক্ষাগুরু ও সমাজের গুণীজন যখন মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, সত্যের পথে চলতে ও সত্যের বাণী পৌঁছে দিতে গিয়ে আমাদের হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) কত অপবাদ, নির্যাতন, জেল, জুলুম খেটেছেন, আর তুমি কি? আমরা উনার উম্মত, উনার আর্দশ মেনে চলতে হবে।
তবে খুব সর্তকের মধ্যে সত্যের সংগ্রাম করতে হবে। তাই আমরা নিজে মিথ্যাকে পরিহার করে সত্যের পথে সবাই যে চলতে পারি। এটাই হলো একজন খাঁটি মানুষের আদর্শ। কে কি বললো সেটা আপনার আমার দেখার বিষয় নয়।
আমি অন্যায় করবোনা, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলবো। বিপদে-আপদে মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাড়াবো। এটাই হলো প্রকৃত মানুষের মনুষ্যত্ব।