সিলেট পুলিশ কমিশনার জনাব আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:: সিলেটমেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসি/প্রক্টর এবং মেডিকেল ও কলেজসমূহের অধ্যক্ষগনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিতঃ
(১১ অক্টোবর ২০২৫ ) শনিবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম মহোদয়ের সভাপতিত্বে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসি/প্রক্টর এবং মেডিকেল ও কলেজসমূহের অধ্যক্ষগনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পুলিশ কমিশনার মহোদয় বলেন, সিলেটকে একটি নিরাপদ ও যানযটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছি। পুলিশের মানবিক ও সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে পারে এবং তাদের সুখ-দুঃখে অংশীদার হয়। আমরা চাই, প্রোঅ্যাকটিভ পুলিশিং এর মাধ্যমে অপরাধ ঘটার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এজন্য আমরা শহরের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সেশন আয়োজন করব। এসব সেশনে ইভটিজিং, মাদক, চোরাচালান, যানজট, পারিবারিক সহিংসতা, পরিবেশ সচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর ফলে জনগণের সচেতনতা বাড়বে এবং আমাদের কাজ সহজ হবে। পুলিশি সেবাকে সহজতর করতে আগামী ১৬ অক্টোবর মোগলাবাজার থানায় GenieA অ্যাপ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে এক মাসের মধ্যে অন্যান্য থানাতেও এটি চালু হবে। এতে প্রাথমিকভাবে দুটি সেবা থাকবে এবং ধাপে ধাপে এআইভিত্তিক সেবা সহ আরও অন্যান্য ফিচার যুক্ত করা হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা অটল, মাদক, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, চোরাচালনসহ অন্যান্য অপরাধসমূহে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম সফল করতে সমাজের সকল শ্রেণির সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা চাই ছাত্র-ছাত্রীরা ভবিষ্যতের যোগ্য নেতৃত্বে পরিণত হোক। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি ‘সামাজিকরণ’ মডিউল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও কাউন্সেলিং সুবিধা থাকবে। বিশেষ করে যারা বিপথে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের জন্য কাউন্সেলিং অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী আপনাদের সন্তানের মতো। তাদের আদর, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে গড়ে তুলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। যানজট ও অবৈধ দখলমুক্ত সিলেট গড়তেও আমরা কাজ করছি। এসব উদ্যোগে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা অপরিহার্য। চ্যালেঞ্জ থাকবেই, তবে সবার সহযোগিতায় আমরা সিলেট নগরীকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভিসি/প্রক্টর এবং মেডিকেল ও কলেজসমূহের অধ্যক্ষগনসহ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারবৃ।
ন্দ।