কানাইঘাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত গাফলতির অভিযোগ!
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট :: সিলেটের কানাইঘাট কতিপয় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পাহাড় সম অভিযোগ তদন্ত গাফলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ছবি-সংগৃহীত।
সরেজমিন অনূসন্ধ্যানে জানা গেছে, সাড়ে ১২ বছরের নাবালিকা মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা নিয়ে কানাইঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা ২নং-লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের মৃত- জমির আলীর ছেলে আব্দুস শুকুর (৫৫)। পহেলা সেপ্টেম্বর এর প্রতিকার চেয়ে তিনি কানাইঘাট থানায় ওই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর শুরু হয় থানা পুলিশের কারসাজি। তদন্তে যাচ্ছি, যাবো বলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে পুলিশ।
অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আউয়াল ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুরের রোষানলে ফাইলবন্ধি থেকে যায় উত্ত্যক্ত করণ অভিযোগ পত্রটি। অথচ থানায় অভিযোগ দাখিলের সংবাদ পৌছে যায় একই এলাকার ওই বখাটে ছেলের পরিবারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উটে মৃত-মুদরিছ আলীর বখাটে ছেলে রুবেল আহমদ ওরফে মড়াই (২২)। একপর্যায় সাড়ে ১২ বছরের মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর হানা দেয় ভিকটিমের পরিবারে। শুরু হয় হট্টগোল। ঘটনার সময় ভিকটিমের বড়ো ভাই মুস্তাকিম ছাড়া বাড়িতে আর কেউ ছিলনা। এমতাবস্থায় ছোটবোনের মানসম্মান রক্ষা করতে আত্মরক্ষার পথ বেচে নেন ভিকটিমের ভাই মুস্তাকিম। শুরু হয় উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তপাত সংঘর্ষ। অবশেষে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংঘর্ষ থামলেও থামেনি বখাটেদের দৌড়াত্ব। পরবর্তীতে উত্ত্যক্তের ঘটনা এড়িয়ে গিয়ে বখাটের বোন ফাহিমা বেগম (২৩) মারধরের অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় মুস্তাকিমকে। পুলিশ সেই অভিযোগখানা এফ আই আর হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু রহস্যজনক হলেও সত্য মুস্তাকিম ছাড়া তার পিতা ও আরেক ভাইকে আসামি করে ওই বখাটের বোন ফাহিমা বেগম। ঘটনাস্থলে না থাকার পরেও তারা এখন ফেরারী আসামি হয়ে চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন। উত্ত্যক্তের অভিযোগ দাখিলের ২৩দিন পরে এই নারকীয় তান্ডব চালায় বখাটে রুবেল। এর আগ পর্যন্ত্য পুলিশ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় ক্ষেপন করে বখাটেদের আশ্রয় দাতার ভূমিকা পালন করে।
এদিকে থানায় মামলা এফ আই আর হওয়ার পরে আরও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠে বখাটে রুবেল গংরা। থানা পুলিশকে হাতের মুঠোয় রেখে ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল আনূমানিক সাড়ে ৪টার দিকে ফের হামলা চালায় আব্দুস শুকুরের আধা পাকা টিনশেড বসত বাড়িতে। প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর সহ চালানো হয় লুটপাট। লুট করে নেওয়া হয় ঘরে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার যাহার বাজার মুল্য আনূমানিক দেড় লক্ষ টাকা। এছাড়াও লুট করা হয় ঘরে থাকা মহিষ বিক্রয়ের নগদ তিন লক্ষ টাকা এবং আসবাবপত্র ভাঃচুর করা হয় প্রায় ত্রিশ হাজার টাকার। এতে মোট ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান দাড়াঁয় প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে ওই পরিবার চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন। এবিষয়ে তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আউয়ালের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি একটা জরুরী বৈঠকে আছি পরে কথা বলেন বলেই সংযোগ কেটে দেন। তবে এসআই হাফিজুর উত্ত্যক্তের অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ছুঠিতে চলে গিয়েছিলাম, এসে শুনতে পারলাম এই ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাদির সঙ্গে আমার আলাপ চলছে, দেখি কি করা যায়? এনিয়ে এসআই শাহ আলমের সঙ্গে মুঠোয় ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তার মুঠোয়ফোন রিসিভ না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা হলে তারা কান্নজড়িত কন্ঠে বলেন, যথাসময়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিলে বখাটেরা এই সাহস পেতোনা। উল্টো আমাদের অনূপস্থিতে আমাদের বসতবাড়িতে এসে হামলা করছে ওই বখাটে সন্ত্রাসী লুটতরাজকারীরা। আমরা এর সুষ্ট বিচার চাই। এসময় তিনি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।