শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

মন্নান মেম্বারের নেতৃত্বে জমজমাট সংগ্ৰাম সীমান্তে চোরাচালান ও চাঁদাবাজির শেষ কোথায়!

স্টাফ রিপোর্টার / ৭২ Time View
Update : শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

সিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সংগ্ৰাম সীমান্তের,চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণে চলছে বিজিবি, ডিবি পুলিশ, ও থানা পুলিশের নামে চাঁদাবাজি।,

লাল মাটি, আমতলা, গুচ্ছ গ্ৰাম,এলাকা দিয়ে, চিনি, চা পাতা , কসমেটিক শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, মোবাইল ফোন, মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, অস্ত্র সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে।

চোরাকারবারিদের গডফাদার মান্নান মেম্বার, বাবু ,রিয়াজুল, ডালিম,সেলিম, ফয়েজ, সাইফুল,সহ তাদের একটি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে চলছে চোরাচালানের রমরমা ব্যবসা। ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা নিষেধ থাকলেও নেই তাদের কোন বাধা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সাথে তারা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের চোরাচালান ব্যবসা।স্থানীয় থানা পুলিশকে ফাকি দিয়ে এই সিন্ডিকেটের লাইনম্যানদের নিয়ন্ত্রণে একেক সময় একেক পথ ব্যবহার করে ভারত থেকে আনা ভারতীয় পণ্য ও দামি ব্র্যান্ডের মালামাল নিয়ে আসছে।এক প্রকার এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় স্থানীয় থানা পুলিশ।

তাছাড়া বেড়েই চলেছে মান্নান মেম্বার বাহিনীর অত্যাচার। এহন কোন কাজ করতেও পিচপা হচ্ছেনা না এই বাহিনী।

এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সীমান্ত এলাকার ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।এই বাহিনীর অন্যতম প্রধান অসাধু ব্যক্তিদের লাইনম্যান মন্নান মেম্বার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেও কথা বলার সাহস রাখেন না।

এই সিন্ডিকেট এর নেতৃত্বে চোরাচালানি চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। গোয়াইনঘাট,তামাবিল,পশ্চিম জাফলং এলাকায়। অন্তত ৩০-৩৫ জনের এ সিন্ডিকেটের নেতা মন্নান মেম্বার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাবু ,রিয়াজুল, ডালিম,সেলিম, ফয়েজ, ও সাইফুলের তদারকিতে বাংলাদেশে আসে ভারতীয় মদ, কসমেটিক্স, মোটরসাইকেল, ইয়াবা,অস্ত্র,কিট, টিস্যু কাপড় সহ নানা পণ্য। প্রায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার এলাকা একাই নিয়ন্ত্রণ করে এই বাহিনী।

আগে যেসব চোরাচালানের লাইন নিয়ন্ত্রণক করতো স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতারা। গত ৫ আগষ্টের পরে এসব লাইন নিয়ন্ত্রন করছেন যুবদল, শ্রমিকদলের কতিপয় কিছু পাতি নেতা। যদিও চোরাচালানে অভিযোগে জেলা বিএনপি বেশ কয়েকজন দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করেছে। উপজেলার পূর্বজাফলং সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন আব্দুল মান্নান উরফে মান্নান মেম্বার। তিনি জাফলং গুচ্ছ গ্রামের সাদ্দাম রুহির ছেলে। তিনি চোরাচালানের মাঠে এখনও অপ্রতিরোধ্য।বাবু ,রিয়াজুল, ডালিম,সেলিম, ফয়েজ, সাইফুলকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী।

গেলবছর ২২ অক্টোবর গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং সীমান্তের চোরাচালাণের ক্ষমতাধর ব্যক্তি আব্দুল মান্নান উরফে মান্নান মেম্বার বাহিনীর হামলায় আনোয়ার হোসেন আহত হন। চোরাচালানের পন্য একটি দোকানে রাখতে গেলে দোকান মালিক তাতে বাধা দেন। এ ঘটনার জের ধরে মান্নান মেম্বার ক্ষীপ্ত হয়ে দোকান মালিক আনোয়ার হোসেন শুভ নামের এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায় এবং তার দোকান লুটপাট করে। পরে আনোয়ার হোসেনকে আহত অবস্তায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চিকিৎসা শেষে এঘটনায় আনোয়ার হোসেন শুভ বাদি হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেন। মামলায় চোরাকারবারিদের গডফাদার মান্নান মেম্বারসহ ১০ জনকে আসামী করা হয়।

জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি জাফলং সীমান্তের আতঙ্কের আরেক নাম মন্নান মেম্বার, বাবু সিন্ডিকেট সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনতে পারলে ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এই সিন্ডিকেটের চোরাকারবারিদের চোরাচালান কর্মকাণ্ড। এর ফলে বছরে সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।

এব্যাপারে মন্নান মেম্বার ও ডালিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ