শিরোনাম
ছাতকের কালারুকা ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ কর্মী সভা সুনামগঞ্জে ‘”তওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্রই শ্রমজীবীর অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র সমাধান”’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফেনারবাঁকে মানবিক যুব সংগঠনের চারাগাছ বিতরন জগন্নাথপুরে অতর্কিত হামলায় মৎস্যজীবি দুই যুবক আহত সিলেটে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ হরিরামপুরে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট সেঃমি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত। সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মোল্লার নিখুঁত প্রশাসন স্থানীয়দের কাছে প্রশংসার যোগ্য ছাতক পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে সিলেট জেলা প্রশাসন গোয়াইনঘাটে ওসি (তদন্ত) কবির হোসেনের বিরুদ্ধে পোস্টিং বাণিজ্যের অভিযোগ
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

গোয়াইনঘাটে ওসি (তদন্ত) কবির হোসেনের বিরুদ্ধে পোস্টিং বাণিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার / ৫১ Time View
Update : বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিশেষ প্রতিবেদক:

সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে থানার ভেতরে কর্মকর্তাদের পোস্টিং বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য পাচার এবং জাফলংয়ের পাথর সংশ্লিষ্ট নানা কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তিনি এ ধরনের বাণিজ্য চালাচ্ছেন।

ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন সম্প্রতি ওসি সরকার মো. তোফায়েল আহমদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পান। এ সময় তিনি কৌশলে সীমান্তের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিটে কর্মরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের অদলবদল করেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব বিটে দায়িত্ব পেতে এসআইদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা এবং কনস্টেবলদের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে আরও বলা হচ্ছে, কবির হোসেন থানার সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছেন যে খুব শিগগিরই তিনি গোয়াইনঘাট থানার পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি হবেন। এজন্য তিনি লবিং করছেন এবং দায়িত্ব পেলে ‘বর্ডার ওপেন’ করে চোরাচালানকে আরও সহজ করবেন বলেও কথিত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

সম্প্রতি তিনি বিছানাকান্দি ও পূর্ব জাফলং বিটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবলদের একাধিকবার পরিবর্তন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, যিনি বেশি টাকা দিয়েছেন তাকেই বিছানাকান্দিতে দায়িত্ব দিয়েছেন।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি পাথর লুটকাণ্ডে আলোচিত কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার মোট ১১ জন পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানার চারজন এবং গোয়াইনঘাট থানার সাতজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, ওসির অফিসে বসে, অফিসার ইনচার্জের রুমে বসেই এই বিট বদলানো হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণো দিতভাবে বলা হচ্ছে যে আমি করেছি। আমার সাথে কোনো আলোচনা হয়নি।  মনগড়া খবর ছাপানো হয়েছে—এটাই আমার বক্তব্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরা কিছু করতে পারি না। পুলিশ সুপারের নির্দেশে এবং গোয়াইনঘাট সার্কেল অফিসারের উপস্থিতিতে অফিসার ইনচার্জের রুমে বসেই জরুরি ভিত্তিতে বিট পুনর্গঠন করা হয়েছে।

শেষে তিনি মন্তব্য করেন,আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুন। আল্লাহ হাজির-নাজির আছেন। যারা মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা লিখে, আল্লাহ যেন তাদের হাত অচল করে দেন—তখন তারা কী করবে? আল্লাহ তো মিথ্যা ও মানহানির পক্ষে নন।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ