শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

গোয়াইনঘাটে ‘আওয়ামী দোসর’দের দখলে ধর্মগ্রাম হাওর!

স্টাফ রিপোর্টার / ৮৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ধর্মগ্রাম হাওর রড়্গায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলমের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রভাবশালী শুক্কুর আলী ও তার লোকজন ধর্মগ্রাম হাওরটি দখলের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে জানিয়েছেন তারা।

ইতিমধ্যে তারা হাওরের একাংশ দখল করে ফেলেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ৪টি গ্রামবাসীর পড়্গে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধর্মগ্রাম গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে মোহাম্মদ সালে রাজা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ধর্মগ্রাম হাওরকে কেন্দ্র করে লান্দু, কোরিহাই, ধর্মগ্রাম ও খলাগ্রামের দরিদ্র মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। গত পাঁচশ’ বছর ধরে হাওরে মাছ ধরে বিক্রি করা গরম্ন মহিষ রাখা ইত্যাদিই তাদের পেশা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রামের শুক্কুর আলী নৌকা সমিতি গড়ে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। আওয়ামী আমলে যেকোনো নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের কালো টাকার বস্তা যেতো শুক্কুর আলীর দোকানে। এসব টাকায় তিনি বড় দোকানের মালিক হন এবং নিজের একটা বিশাল বাহিনী গড়ে তুলেন।

এই বাহিনীর সদস্যরা হলেন শুক্কুরের আপন ভাই মোহাম্মদ এখলাছ, মো. রহিম উদদীন, মো. সিরাজ, মো. রিয়াজ, মো. সামছুর উদদীন, আলীম উদদীন, মো. দেলোয়ার, মো. সেলিম, মো. শরীফ, মো. বাবুল হোসেন মনির,মোঃ জয়রম্নদদীন মো. মনির আহমদ, মো. জলাল, এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. জসিম। এরা আওয়ামী লীগের সময়ে যেমন ক্ষমতার দাপট দেখাতো, এখনো তাই।

গত বছরের পাঁচ আগস্টের পর শুক্কুর আলীর নজর পড়ে ধর্মগ্রাম হাওরের উপর। সরকার হাওরের জায়গা কেনাবেঁচা বন্ধ রাখলেও, শুক্কুর আলী কিছু গরীব মানুষকে, পাঁচ/দশ হাজার টাকা করে দিয়ে রেজিস্ট্রার করে নিয়েছে কিছু জায়গা যার পরিমাণ ছয় শতাংশ হলেও তারা নয় হাজার নয়শ’ শতাংশের মত চাষবাস করতে থাকে।

তিনি জানান, তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তারা মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলায় তাকে গ্রেফতার করায় এবং মারধোর ও তার দোকান লুট করে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তারা ডেভিলদের কাছে অসহায়, নির্যাতিত বলেও অভিযোগ করেন।

সালেহ রাজার অভিযোগ, শুক্কুর ও তার লোকজন হাওরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষনে তিনি উচ্চ আূাদালতে একটি রিট (নং ৮০৭৬/২০২৫) দায়ের করেছিলেন। আদালতের নির্দেশে গত ২০ আগস্ট সচিব, গোয়াইনঘাটের ইউএনও, এসিল্যা- এবং তহসিলদার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেশীয় অস্ত্র দেখে ও হুমকি ধমকিতে তারা ফিরে যান। ২/৩ দিন আগে শুক্কুর ও তার লোকজন নিরীহ মানুষকে হাওরে গরম্ন চরাতে নিষেধ করেছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা। তারা সরকারি সম্পদ গ্রাস করে ফেলছে।

তারা সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমসহ প্রশাসনের কঠোর হ¯ত্মড়্গপে চেয়েছেন এবং হাওর রড়্গায় প্রয়োজনীয় আইনী পদড়্গপে গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলাকাবাসীর পড়্গে আজির উদ্দিন, আজি রহমান, নিমার আলী, আব্দুল মালিক, নুরম্নল হক কটু, আব্দুল হক, আব্দুল খালিক, সুলেমান রাজাসহ আরও অনেকে।তবে সালে রাজার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাজি মো. শুক্কুর আলী।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ