বিশেষ প্রতিবেদক ::
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর পরই সিলেটের গোয়াইনঘাটে চোরাচালানের সিন্ডিকেটে হাতবদল হয়েছে।এখন যুবদল নেতা জসিম সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে এ সিন্ডিকেটের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল গোয়াইনঘাটের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের হাতে।
গোয়াইনঘাটের একাধিক চোরাকারবারিদের দেওয়া তথ্যমতে, ক্ষমতার পালাবদলের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
এ সুযোগে গোয়াইনঘাটে সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন যুবদলের নেতা জসিম হোসেন সিন্ডিকেট। বর্তমানে জসিমের নেতৃত্বেই এখন সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাই চিনিসহ বিভিন্ন পন্যে ট্রাক ও পিকাপে করে এনে নিরাপদে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এর বিনিময়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছেন।
সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জাফলং সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চিনিসহ বিভিন্ন পন্যে আসে। এসব চিনি তামাবিল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ভোলাগঞ্জ-গোয়াইনঘাট কোম্পানীগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে নগরের পাইকারি বাজার কালীঘাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। একাধিক চোরাকারবারির ভাষ্য, ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কারবারিরা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। চোরাচালানের হোতা ছাত্রলীগ নেতারাও আত্মগোপনে চলে যান। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় নজরদারিও আগের চেয়ে বাড়ে। তবে আবার চিনি পাচার শুরু হয়েছে। এখন শহরে নির্বিঘ্নে চোরাই চিনির প্রবেশে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা।
জানা যায় গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১ নং মধ্য জাফলং ইউনিয়ন ও ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর, প্রতাপপুর,সীমান্তবর্তী এলাকা লামাপুঞ্জি, নশকিপুঞ্জি, মন্দিরের ঘাট, পুরাতন সংগ্ৰামপুঞ্জি, এ জায়গা গুলো সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় ওপার ভারতে যাতায়াত করতে সুবিধা ভাল । ৫/৭ মিনিটে যাতায়াত করতে পারে এসব এলাকার চোরাচালানের মালামাল অটো গাড়ি, টলি, মোটরসাইকেল যোগে রাধানগর বাজার ও আশপাশের এলাকায় মজুত রেখে সুযোগ বুঝে বড় গাড়ি লোড় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি অভিযান দিয়ে কিছু চোরাচালানের মালামাল আটক করলেও পারছেন চোরাচালান ঠেকাতে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করলে উনারা বলেছেন সীমান্তে বিজিবি আছে ওরা কি করেন, এসব ওনাদের দায়িত্ব আপনারা বিজিবি’র সাথে কথা বলেন। স্থানীয় লোকজন জানান স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করে চোরাকারবারীরা থানা পুলিশের লাইনম্যানদের সহযোগিতায় চলছে এসব অপকর্ম চোরাচালান। ওপার ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে গরু, মহিষ, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, কসমেটিক, কিট, কাটুন,চিনি,চা পাতা, জিরা, এলাইস,ডালচিনি,মদ, ফেনসিডিল, অস্ত্র,সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল, বাউরবাগ গ্ৰামের যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন বর্তমানে তিনি থানার ওসির লাইনম্যান হিসেবে পরিচিত।সীমান্তবর্তী চোরাচালান সিন্ডিকেটের কাছে সে ‘বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান’ হিসেবে পরিচিত। সীমান্তে চোরাচালানের লাইন পরিচালোনা করে হয়েছেন অঢেল কালো টাকার মালিক। বর্তমান সময়েও তিনি চোরাচালান নিয়ে মরিয়া। গড়ে তুলেছেন আলাদা সিন্ডিকেট।
এ ব্যাপারে জানতে জসিমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বলেন জসিম নামে কাউকে চিনিনা, বালু পাথর নিয়ে ঝামেলা চলছে, চোরাচালানের বিষয় জানা নেই এবিষয় দেখতেছি কে জসিম।