শিরোনাম
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জস্থ্য ব্রিজ একাডেমি’র আন্তর্জাতিক সাফল্য ভৈরবে ধর্ষণ মামলার আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে থানার সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শোক প্রকাশ করেছেন অবিবাহিত তরুণীর নাম মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায়, মোবাইল একাউন্ট নম্বর ইউপি সদস্য নুরনাহার বেগমের জামাইয়ের হোটেলে ১০ নারীর সাথে পাওয়া গেল দুই পুরুষকে দিরাইয়ে বিএনপির ৯ নেতার অব্যাহতি প্রত্যাহার সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত নেয়ার অভিযোগ কদমতলীতে জোড়া খু নে ৩ জনের মৃ ত্যু দ ণ্ড ছাতক উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সুনামঞ্জ জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০৯:২১ অপরাহ্ন

অবিবাহিত তরুণীর নাম মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায়, মোবাইল একাউন্ট নম্বর ইউপি সদস্য নুরনাহার বেগমের জামাইয়ের

স্টাফ রিপোর্টার / ১৬ Time View
Update : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম এসেছে এক অবিবাহিত তরুণীর। অথচ ওই তরুণী নিজেও জানতেন না, তার নামে এমন ভাতা চালু রয়েছে। আরও বিস্ময়কর বিষয় হলো এই ভাতার টাকা তোলা হচ্ছে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের জামাইয়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে।
সম্প্রতি এমন অভিযোগ উঠে এসেছে, উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. নুরনাহার বেগমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, তার সুপারিশে ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে অবিবাহিত এক তরুণীকে গর্ভবতী দেখিয়ে ভাতার আবেদন করা হয় এবং ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য তার জামাইয়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহৃত হয়। বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ে।
জানা গেছে, আংগারপাড়া ইউনিয়নের তালেব মেম্বারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের মেয়ে আক্তারিনা আক্তার বাবা-মা হারা। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি এক প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দেখভাল করেন। ২০২৫–২৬ অর্থবছরের ‘ভি.ডব্লিউ.বি’ কর্মসূচিতে (বিনামূল্যে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল) নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে গিয়ে জানা যায়, তার নামে ইতোমধ্যে মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু রয়েছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ওই নারীর নামে ভাতার আবেদন করা হয়। সেখানে স্বামীর নাম দেওয়া হয় “পায়েল” এবং সংযুক্ত করা হয় একটি গর্ভাবস্থার সনদপত্র। অথচ বাস্তবে তার কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক বা মাতৃত্বের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ভাতার টাকা তোলার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও তার নয়। ওই নম্বরে ফোন দিলে সেটি ইউপি সদস্য নুরনাহার বেগমের জামাইয়ের বলে জানা যায়। তিনি দাবি করেন, তার স্ত্রীর নামই আক্তারিনা। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, তার স্ত্রীর প্রকৃত নাম সুরাইয়া আক্তার, আক্তারিনা নয়।
ভুক্তভোগী আক্তারিনা বলেন, “আমি অবিবাহিত। মাতৃত্বকালীন ভাতার বিষয়ে কিছুই জানি না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যা মোছা. নুরনাহার বেগম মুঠোফোনে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমার ভুল হয়েছে। আমার মেয়ে অসহায়, তাঁর বয়স কম হওয়ায় অন্য জনের এনআইডি ব্যবহার করে মাতৃত্বকালীন কার্ড করেছি।”
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা মোস্তারি বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অবিবাহিত ওই তরুণীর নামে হওয়া মাতৃত্বকালীন ভাতা বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, “দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে অনিয়ম আশা করা যায় না। তদন্ত করে এই অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ