গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের গুয়াখাই গ্রামের জামে মসজিদে মঙ্গলবার দুপুরে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন মাওলানা রফিকুর রহমান (৬৫), ফয়জুর রহমান (৬৭), মুমিন (৪৮), গুলজার (৩০), সুমন (২৬), সফিক (৬৮) এবং সালিশ ব্যাক্তি আজির উদ্দিন (৬০) ও বিলাল উদ্দিন (৫৫)।
জানাগেছে মাস খানেক পূর্বে গুয়াখাই গ্রামের গোপাট সংলগ্ন মালিকানা জমিতে একই গ্রামের সমছুর, গিয়াস, হাবিবুর ও সাহেদের নেতৃত্বে জোরপূর্বক দখল করে সীমানা নির্ধারন করে বাঁশের কুটা মারেন। জমির মালিক মাওলানা রফিক, শফিকুর রহমান গংরা বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার সালিশগন বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিচার সালিসির আওতায় নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে গুয়াখাই জামে মসজিদে সালিশগন বিচারে বসে আলোচনা শুরু করেন এবং এক পর্যায় সমছু,গিয়াস গংরা দেশীয় অ/স্ত্র নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে সালিশ ব্যাক্তিসহ জমির মালিক ১০/১২ জনকে গুরুতর আহত করে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে মসজিদে আহতদের অবরুদ্ধ করে রাখে।প্রায় ঘন্টা খানেক সময় আহতরা মসজিদে অবরুদ্ধ থাকায মসজিদের বারান্দা র/ক্তে ভেসে যায়।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদকে বিষয়টি অবগত করার পর তিনি এসআই মারুফসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাটিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতদের ১ম জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিওমেক হাসাপাতালে প্রেরণ করেন।
জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরনের ব্যবস্থা করেছি এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।