স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটে মালিক শ্রমিক কর্মবিরতি প্রশাসনের আশ্বাসে চলমান পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এবং সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল হক।
তিনি বেলা সোয়া ১টায় জানান, প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আপাতত স্থগিত করেছি। শ্রমিকদের নিয়ে বেলা ৩ টায় নিজ কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার।
এরআগে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সিলেটটুডেকে বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই শ্রমিকদের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে আজকের মধ্যেই এই বৈঠক হবে।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন তখন বলেছিলেন, বিভাগীয় কমিশনারের উদোগে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আমাদের সাথে একটি বৈঠক হতে পারে বলে শুনেছি। তবে এখনও আনুষ্টানিক কিছু জানানো হয়নি। এরকম কোন বৈঠক আয়োজন হলে অবশ্যই আমরা সেখানে যাবো। আলোচনা ফলপ্রসু হলে কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেবো।
পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে এই কর্মবিরতি আহ্বান করে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতিতে বন্ধ রয়েছে বাস-ট্রাকসহ বেশিরভাগ পরিবহন। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ধর্মঘটে সড়কে কিছু অটোরিকশা, রিকশা ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এসব চলাচলেও পরিবহন শ্রমিকরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দবিগুলো হলো- তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান ২৫ বছর, সিএনজি ও ইমা লেগুনা এর ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করা, সিলেটের সকল পাথর কোয়ারীর ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক সকল গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণ পরিবহন ও পণ্য পরিবহনের উপর আরোপিত বার্ধিত টেক্স প্রত্যাহার করা, সিলেটের সকল ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত ও ভাংচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতি পূরণ দেওয়া, সিলেটের পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে সিলেট থেকে প্রত্যাহার করা ও সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সকল ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানী বন্ধ করা।