শিরোনাম
বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন ৬ চোর গ্রেফতার, চোরাই মালামাল উদ্ধার নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা মেরামত করলেন সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন  ছাতকে মোবাইল কোর্টের সাজাপ্রাপ্ত সহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৯   সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে মার্কেট রক্ষার দাবিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মানববন্ধন বুড়িচংয়ে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মধুপুরে ঘোড়া জবাই, পুলিশী অভিযানে ৭টি ঘোড়া উদ্ধার – আটক ১ শেরপুর-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহফুজুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র শাখা তারেক জিয়ার প্রজন্মদলের সভাপতি নির্বাচিত  শেরপুরের নালিতাবাড়িতে ভারতীয় মদসহ আটক-১ ঝিনাইগাতীতে বিএনপি নেতা মরহুম খলিলুর রহমানের স্মরণ সভা  সাচার ভারতীয় উপ-মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রী-শ্রী জগন্নাথ দেবের ১৫৮তম রথযাত্রা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন

বড়লেখায় মন্দিরে চুরির রহস্য উদঘাটন ৬ চোর গ্রেফতার, চোরাই মালামাল উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার / ৩১ Time View
Update : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

মোঃ জাকির হোসেন জুড়ী প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় দুটি মন্দিরে সংঘটিত চুরির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। অভিযান চালিয়ে ছয়জন পেশাদার চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মন্দির থেকে চুরি হওয়া বিভিন্ন পূজার সামগ্রী।

পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন রাত থেকে ১৩ জুন ভোরের মধ্যে বড়লেখার পাখিয়ালা এলাকার শ্রী শ্রী উদ্ভব ঠাকুরের আখড়া মন্দির এবং ২৬ জুন রাত থেকে ২৭ জুন ভোরের মধ্যে দক্ষিণভাগ সার্বজনীন দেবস্থলী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় বড়লেখা থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল)-এর দিকনির্দেশনায় বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে চুরি রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে প্রথমে দক্ষিণভাগ বাজারের রেললাইন এলাকা থেকে রুহেল আহমদ (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পরবর্তীতে আরও পাঁচজন—আবু তায়েব আহমদ সাজু (২৮), নুর হোসন (৪০), জাকির হোসেন (৩১), মোঃ আলাল মিয়া (৩৮) ও শাহ আলী (৪২)-কে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বড়লেখার মাধবগুল এলাকায় শাহ আলীর ভাঙারির দোকান ও অন্য আসামিদের বসতবাড়ি থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ১১টি পিতলের ঘট, ২টি কাসার ঘণ্টা, ২টি পুস্প থালি, ১টি পিতলের প্রদীপ, ৮টি কাসার থালা, ৫টি কাসার বাটি, ২ সেট চিপ কোষা এবং ১টি পিতলের কলসি।

এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টি কাটার, ২টি হেক্সো ব্লেড, ১টি হেমার, ৩টি ছেলাই রেঞ্জ, ৩টি হাতুড়ি, ২টি রডের টুকরা ও ১টি লাল রঙের জগও জব্দ করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ উদ্ধার হওয়া মালামাল সনাক্ত করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, ধৃতরা পেশাদার অপরাধী এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মন্দিরে চুরির ঘটনায় কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানির প্রমাণ মেলেনি। এটি নিছক চুরির উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা।

শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ