স্টাফ রিপোর্টার :
সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বসতঘরে স্বামীর সামনে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার ঘটনা ঘটেছে। ২৩ জুন সোমবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ভরপাশা ৭নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ২৬ জুন বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য(সৈনিক) জাহাঙ্গীর খানের স্ত্রী ভুক্তভোগী রিনা বেগম (৪৮) মৃত শাহজাহান খানের পুত্র সাইদুল ইসলাম সহ দুজনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় দায়ের করেছেন।
এর পরপরই বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিলর নান্নু শরীফ এবং ক্যাডারবাহিনী ভুক্তভোগী নারীকে ও তার শয্যাসায়ি স্বামীকে প্রাণনাশ সহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিয়ে আসছে। হুমকিদাতারা বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান সহ উপজেলার কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং পুলিশের নাম উল্লেখ করে বলেন- ‘‘তারা কিছুই করতে পারবে না। যদি বাঁচতে চাও, তবে মামলা তুলে নাও’’।
মাদক ব্যবসায়ি উল্লেখিত ক্যাডারবাহিনীর মুহূর্মুহু হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী রিনা বেগম এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এ পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অসহায় নারী।
ঘটনাচক্র হচ্ছে, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ভরপাশা ৭নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত শাহজাহান খানের পুত্র মাদক ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলাম একই এলাকার জাহাঙ্গীর খানের স্ত্রী রিনা বেগম কে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। ওই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবং সবাইকে জানানোর হুমকী দেওয়ায় ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে রিনা বেগম কে তার বসতঘরে ঢুকে স্বামী জাহাঙ্গীর খানের সামনে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। স্ত্রীকে বাঁচাতে অসুস্থ্য স্বামী এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। এক পর্যায়ে হাতে ধারালো ‘দা’ নিয়ে তেড়ে আসে সাইদুলের স্ত্রী বিথী বেগম (৩৮)। এতে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ায় রিনা বেগম কে খুনের উদ্দেশ্যে ধারালো ‘দা’ দিয়ে মাথায় কোপ দেয় অভিযুক্ত সাইদুল। কিন্তু রিনা ‘দা’ ধরে ফেলায় তার হাতের দুই আঙুল কেটে যায়। ঘটনা টের পেয়ে প্রতিবেশিরা দৌঁড়ে এলে সাইদুল পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় যেকোনো সময় স্বমী-স্ত্রী দুজনকে মেরে ফেলার হুমকী দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেও স্থানীয় থানা পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহন না করায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অসহায় ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, এ বিষয়ে সকল ধরণের আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া আসামি আটকের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকার কথা জানান তিনি