ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অভিযোগের শেষ নেই। অনিয়ম ও দুর্নীতি শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত ফি আদাই যেন এক রীতিতে পরিনত করেছেন তিনি। অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ আলম। তিনি উপজেলার পীরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনগাঁও পয়েন্ধা বিশমাইল (বিপিবি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষককের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ। (বিপিবি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা ননিয়ম ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের কারণে অভিভাবক এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ একত্রে হয় পরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম অতিরিক্ত ফি আদায়ের কারণে খুব প্রকাশ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার অসংখ্য মানুষ। অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগের বিষয়টি মেনে নিতে না পেয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির না থাকায় ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে। এর আগে সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষক একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপকর্ম, অনিয়ম-দূর্নীতি এবং জাল-জালিযাতির প্রমানপত্রসহ ১৭ দফা অভিযোগ উল্লেখ করে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। তবে এবার (বিপিবি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলম এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি আদায়ের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে অভিযোগ করেছেন ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এদিকে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলম ৩০ বছর যাবৎ ধরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে প্রতি পদে পদে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির শেষ নেই। অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন এক রীতিতে পরিনত হয়েছে বলে জানায় অভিভাবকসহ শিক্ষকবৃন্দ।তিনি দীর্ঘদিন যাবত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। নানা অজুহাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন।
মুসলিম উদ্দিন নামে অভিভাবক বলেন এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এতো কিছু প্রমানের পরেও কিভাবে তার চাকুরি থাকে বিষয়টি বোধগম্য নয়। তিনি নিজেই একজন দূর্নীতিবাজ তিনি বাচ্চাদের কি শিখাবেন।
বিপিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। সাবেক স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মকছেদুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি নন তবে তিনি বিক্ষোভ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই অনিয়ম দুর্নীতি অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি আপস মীমাংসায় প্রধান শিক্ষক না আসলে বিক্ষুপ্ত ছাত্রছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসী। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গণস্বাক্ষর হারে একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান। এই বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাকিবুল হাসান খবর পেয়ে বিপিবি) উচ্চ বিদ্যালয়ে ছুটে যান পরে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে বিষয়টি সমন্বয় করার চেষ্টা করেন । বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সাথে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি নিরাশনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তিনি আরো বলেন আপনারা যারা অভিভাবক ও শিক্ষার্থী রয়েছেন আপনার পাল আপনার চাইলেই নিদর্শন করতে পারেন নিরাশন না করলে আপনার লিখিত অভিযোগ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয় থেকে চলে গেলে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক এলাকাবাসীসহ প্রধান শিক্ষক সাথে বিষয়টি নিয়ে বসেন।