শিরোনাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি মোটর চালক দল সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের বাগানবাড়ি এলাকায় বিজিবি”র অভিযানে ২ মানব পাচারকারীসহ ৬ জন আটক কাশিমপুরে পারিবারিক কবরস্থান দখলে মানববন্ধন ভুক্তভোগী পরিবারের।  গোয়াইনঘাটে নৌপথে , প্রায় ২ থেকে ৩ শত ভলগেইট আটক করেছে স্হানীয় লেঙ্গুড়া গ্রামের জনসাধারণঃ  নলছিটিতে চাঁদাবাজ হকার মাইনউদ্দিনকে বিতাড়িত করার দাবিতে মানববন্ধন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ (Stayed) ছাতকে সুরমা নদীতে বিআইডব্লিউটিএ’র টোল আদায় সাবেক ইজারাদারের হাতে   দোয়ারাবাজারে জামায়াতের  জনশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত   পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের বাঙালি সদস্য চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার তাহিরপুরের পাটলাই নদীতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চুনাপাথর কয়লা সহ বিভিন্নপণ্যবাহী নৌযান থেকে খাস কালকেশন করছে সরকার
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

১৬ বছরের জমি মামলায় শেষে, ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ দখলমুক্তির দাবি করে সংবাদ সম্মেলন 

স্টাফ রিপোর্টার / ২৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকার বাসিন্দা মোঃ আইনুল হক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একটি জমি মামলা নিয়ে চরম হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হন। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৯ মে তারিখে আদালতের রায়ে আপিল খারিজ হওয়ার মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার লাভ করেন। এ ঘটনায় তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মোঃ আইনুল হক লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার জমির মূল মালিক ছিলেন ত্রৈলক্ষনাথ ভট্টাচার্য ও কাশীমোহন ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে ত্রৈলক্ষনাথের স্ত্রী কুসুম কুমারী দেব্যা ১৯৫৫ সালে ২ একর জমি মোঃ ফোরকান উল্লাহর নামে পাট্টা দলিল দেন, যার একটি দাগ ৪১৮৭ ছিল। ঐ দাগে থাকা পারিবারিক শিবমন্দিরের ৪ শতক বাদ দিয়ে বাকি ২৪ শতক জমি ফোরকান উল্লাহ ভোগ করেন এবং সেই জমি পরে ফজলুল হক ও আইনুল হক ১৯৭৪ সালে দলিল মূলে মালিকানা অর্জন করেন।

২০০৮ সালে রনজিৎ মোহন্ত, কালীপদ সেন ও পুতুল সেন নামে তিন ব্যক্তি এই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন এক সময় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু আপসের কথা বলে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য সাময়িকভাবে ২-৩ শতক জমি ব্যবহার করার অনুরোধ করেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পূজা শেষে জমি ফেরত না দিয়ে দখলে নিয়ে সেখানে স্থায়ী ঘর নির্মাণ শুরু করে দেন অভিযোগকারীরা।

মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালে মূল মামলায় আদালতের রায় মোঃ আইনুল হকের পক্ষে আসে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা পরবর্তীতে জেলা জজ কোর্টে আপিল করেন এবং আপিল চলাকালীন সময়েও একাধিকবার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যান। এমনকি ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখে।অবশেষে ১৯ মে ২০২৫ সালে আপিল মামলায়ও আদালত বাদীদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

মোঃ আইনুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১৬ বছর ধরে আমি হয়রানি ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। মামলার খরচ, নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্মানহানির মুখে পড়েছি। এখন আমি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।” সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ