শিরোনাম
ছাতকে পুলিশের এক অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৪  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা।  মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সাংসদ- ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্তর নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ছাত্রদলের সাথে মতবিনিময় সভা। বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবীতে বিশাল মিশিল, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ ছাতকের খুরমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার  হরিরামপুরে জাতীয় পার্টি সহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে -জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ! ফের গোয়াইনঘাটে বালু লুটের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নেপথ্যে প্রভাবশালী মহল ৫ দফা দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেট জেলা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ ও কামরুলকে ফুলেল শুভেচ্ছা
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

১৬ বছরের জমি মামলায় শেষে, ক্ষতিপূরণ ও অবৈধ দখলমুক্তির দাবি করে সংবাদ সম্মেলন 

স্টাফ রিপোর্টার / ৪৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকার বাসিন্দা মোঃ আইনুল হক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে একটি জমি মামলা নিয়ে চরম হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের শিকার হন। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৯ মে তারিখে আদালতের রায়ে আপিল খারিজ হওয়ার মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার লাভ করেন। এ ঘটনায় তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মোঃ আইনুল হক লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার জমির মূল মালিক ছিলেন ত্রৈলক্ষনাথ ভট্টাচার্য ও কাশীমোহন ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে ত্রৈলক্ষনাথের স্ত্রী কুসুম কুমারী দেব্যা ১৯৫৫ সালে ২ একর জমি মোঃ ফোরকান উল্লাহর নামে পাট্টা দলিল দেন, যার একটি দাগ ৪১৮৭ ছিল। ঐ দাগে থাকা পারিবারিক শিবমন্দিরের ৪ শতক বাদ দিয়ে বাকি ২৪ শতক জমি ফোরকান উল্লাহ ভোগ করেন এবং সেই জমি পরে ফজলুল হক ও আইনুল হক ১৯৭৪ সালে দলিল মূলে মালিকানা অর্জন করেন।

২০০৮ সালে রনজিৎ মোহন্ত, কালীপদ সেন ও পুতুল সেন নামে তিন ব্যক্তি এই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলা চলাকালীন এক সময় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহিদ এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহির তাহু আপসের কথা বলে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য সাময়িকভাবে ২-৩ শতক জমি ব্যবহার করার অনুরোধ করেন। লিখিত প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও পূজা শেষে জমি ফেরত না দিয়ে দখলে নিয়ে সেখানে স্থায়ী ঘর নির্মাণ শুরু করে দেন অভিযোগকারীরা।

মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালে মূল মামলায় আদালতের রায় মোঃ আইনুল হকের পক্ষে আসে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা পরবর্তীতে জেলা জজ কোর্টে আপিল করেন এবং আপিল চলাকালীন সময়েও একাধিকবার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যান। এমনকি ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখে।অবশেষে ১৯ মে ২০২৫ সালে আপিল মামলায়ও আদালত বাদীদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

মোঃ আইনুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “১৬ বছর ধরে আমি হয়রানি ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। মামলার খরচ, নিরাপত্তা ও সামাজিক সম্মানহানির মুখে পড়েছি। এখন আমি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আমার জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।” সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ