জৈন্তাপুর (সিলেট): প্রতিনিধি:
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের হরিপুর টু ফতেহপুর গোয়াইনঘাট এয়ারপোর্ট রোড এখন যেন জনদুর্ভোগের আরেক নাম। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর আওতাধীন এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে অসংখ্য বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকে পানি। ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শত শত পথচারী, শিক্ষার্থী, রোগীবাহী গাড়ি ও পর্যটনগামী যাত্রীদের।
এই সড়কটি শুধুমাত্র জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাটের মানুষের নয়, বরং এটি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকদেরও চলাচলের অন্যতম রুট। কারণ, এই রাস্তাই সরাসরি সংযুক্ত করেছে রাতারগুল, বিছনাকান্দি এর মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে।
রাস্তার পাশেই বসবাসকারী বৃদ্ধ আছমা বেগম জানান,“হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রিকশা ডাকতে গিয়ে দেখি গর্তে পানি। গর্তে পা পিছলে পড়ে যাই। এখন মানুষ রাস্তায় হাঁটতেই ভয় পায়।”
টমটম চালক উসমান আলী বলেন, প্রতিদিন গাড়ি চালাই, কিন্তু এই গর্তে কখন গাড়ি উল্টে যায় ঠিক নাই। যাত্রী নামিয়ে ঠেলে গাড়ি বের করতে হয়।
আরেক চালক আমির উদ্দিন জানান, এই রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে লাভের টাকা দিয়ে গাড়ি মেরামত করতে হয়। তবুও চালাতে হয়, পেট তো মানে না।”
স্থানীয়দের মতে, বর্ষাকালে রাস্তা একেবারে পানিতে ডুবে যায়। তখন গর্ত বোঝা যায় না, ফলে অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হন। একাধিকবার স্কুলছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়দের স্পষ্ট ভাষায় অভিযোগ এই রাস্তায় যেন কষ্ট জমে আছে। আমরা আর আশ্বাস চাই না, বাস্তব পদক্ষেপ চাই। এলজিইডি যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিক আহমদ বলেন,“রাস্তাটি এলজিইডির আওতাধীন। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি তাদের জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।”
এ প্রসঙ্গে জৈন্তাপুরের এলজিইডি প্রকৌশলী বলেন,“সড়কটি আপগ্রেডিং প্রকল্পে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে জুলাই মাসে কাজ শুরু হতে পারে। তবে আপাতত কোনো অস্থায়ী সংস্কারের পরিকল্পনা নেই।”
তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, “ততদিন কি পথচারীদের এই দুর্ভোগই সঙ্গী থাকবে?