নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:
নবীগঞ্জে ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ করেছেন ছাত্রী মা শুলন রানী পুরকায়স্থ ও তার পরিবার। অপহরণ করেছেন আনন্দ নিকেতনের নৃত্যের শিক্ষক দাবীদার নেপাল ঘোষ ও তার ভাগনা দূর্জয় রায় লাড্ডু। এ ব্যাপারে ওই স্কুল ছাত্রীর মা শুলন রানী পুরকায়স্থ নবীগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি নং ১৫০৫, তারিখ ২৯/০৪/২০২৫ইং দায়ের করেছেন। থানায় জিডির ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ওই স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা দূর্জয় রায় লাড্ডু নামের এক যুবক তার ফেসবুক আইডিতে ওই স্কুল ছাত্রীর ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে ভাইরাল করে। খোজঁ নিয়ে জানাযায়, নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দ নিকেতন এর নৃত্যের শিক্ষক দাবীদার শহরের ওসমানী রোডের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা নেপাল ঘোষ এর ভাগনা উক্ত দূর্জয় রায়। দীর্ঘদিন ধরে নেপাল ঘোষের কাছেই নবীগঞ্জে বসবাস করতো দূর্জয়। গত ২৮ এপ্রিল সকালে উপজেলার দত্তগ্রামের রবীন্দ্র দাশের ৯ম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রী মমো রানী দাশ (১৬) নবীগঞ্জ শেরপুর রোডস্থ ধানসিড়িঁ বাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে উক্ত নেপাল ঘোষ ও তার ভাগনা দূর্জয় রায় লাড্ডু ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা শুলন রানী পুরকায়স্থ নবীগঞ্জ থানায় একটি হারানো জিডি করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ নেপাল ঘোষ’কে থানায় ডেকে এনে স্কুল ছাত্রী মমো রানী দাশকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু নেপাল ঘোষ তার কোন তোয়াক্কা না করে নিজেকে আনন্দ নিকেতনের নৃত্য শিক্ষক দাবী করে বুক ফুলিয়ে ঘুরাফেরা করছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দূর্জয় রায় লিখেন “আমি মমোর জামাই”। বিভিন্ন ছবিও আপলোড করেন তার নিজস্ব আইডি ফেসবুকে। এতে বুঝা যায়, উক্ত দূর্জয় রায় ও নেপাল ঘোষের জিম্মায়ই রয়েছে উক্ত স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পরিবার আতংকে রয়েছে। ওই ছাত্রীর অনাগত ভবিষ্যত নিয়েও শংকিত তার পরিবার। পরিবারের দাবী নেপাল ঘোষ’কে আটক করলেই ওই স্কুল ছাত্রীর সন্ধ্যান পাওয়া যাবে। এদিকে আনন্দ নিকেতনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বখত চৌধুরী বলেন, নেপাল ঘোষ তাদের নিকেতনের কেউ নয়। সে মাঝে মধ্যে তাদের শিক্ষক প্রবীর শীলের সাথে নিকেতনে আসতো। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’মাস ধরে তাকে নিকেতনে আসতে নিষেধ দেয়ায় আর আসেনি। নেপাল ঘোষ বলেন, তার ভাগনা দূর্জয় রায়ের সাথে রয়েছে মমো রানী দাশ। তবে সে জড়িত নয়। মমো রানী দাশের মা শুলন রানী পুরকায়স্থ বলেন, আমার স্কুল পড়–য়া কম বয়সী মেয়ে’কে উক্ত নেপাল ও তার ভাগনা দূর্জয় অপহরণ করেছে। তারা আমার মেয়ে’কে মেরে ফেলতে পারে। তিনি তার মেয়েকে দ্রুত উদ্ধারের দাবী জানান।