শিরোনাম
বোরহানউদ্দিনে সাবেক মেয়র মিলন মিয়ার সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া দোয়ারাবাজারে ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চক বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন   ছাতকের ভাতগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত  কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত  সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ বাজারে আঞ্চলিক বিএনপির অফিস উদ্বোধন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান  নতুন বাজারে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ সুনামগঞ্জের শহীদ মিণারে বিজিবি”র অভিযানে ১০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুরে শব্দদুষণ করায় ৩ টি গাড়িত ৪০০০ টাকা জরিমানা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি  ময়মনসিলহে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা  নেত্রকোনায় জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

সিলেটে ভাই হয়ে বোনের কাছে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, শংকিত প্রবাসী পরিবার !

স্টাফ রিপোর্টার / ৮৩ Time View
Update : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

স্টাফ রির্পোটার, সিলেট:

সিলেটে বোনের পাঁচ তলা বিশিষ্ট বাসা দখলে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আপন ভাই আব্দুল বারি (৬০)। এতে শংকিত হয়ে পড়েছেন বোন আলমা বেগম। অবশেষে তিনি কোন উপায়ান্তর না পেয়ে এর প্রতিকার চেয়ে শাহপরাণ (রহঃ) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর মেজরটিলা এলাকার ইসলামপুরের পিতা মৃত-সফর আলী দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। মৃত্যুকালে তিনি মৌরসি ১৪শতক ভূমি রেখে যান। পরে উক্ত ভূমি স্থানীয়দের সহযোগীতায় তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। একপর্যায় আলমা বেগমের লন্ডন প্রবাসী স্বামী আব্দুর রউফ বড় ভাই আব্দুল করিম ও আরেক বোন সালমা বেগমের নিকট হতে সাড়ে ৬ শতক ভূমি খরিদ করেন। আলমা বেগমের আড়াই শতক ভূমিসহ মোট সাড়ে ৮শতক ভূমির উপরে গড়ে তোলেন পাঁচ তলা বিশিষ্ট বাসা বাড়ি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এসে অপর ভাই আব্দুল বারি (৬০) লন্ডন প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানদের সেই বাসা থেকে বিতাড়িত করতে খুন, গুমসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন দেখিয়ে ২০,০০,০০০ (বিশ লাখ) টাকা চাঁদা দাবি করে বসে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অসময়ে বাসায় বাড়াটিয়া থাকা নিরীহ লোকদের বিভিন্ন ভাবে হেনাস্থা করার অপচেষ্টা করছে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২৫ এপ্রিল বিকেল তিনটার দিকে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে হামলে পড়ে আলমা বেগমের বসত বাড়িতে। এসময় সে ও তার সঙ্গে থাকা অপর সন্ত্রাসীরা বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, অন্যথায় বাসা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তখন আলমা বেগমের অপর দুই বোন ওই বাসায় উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায় তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিবাদি আব্দুল বারি তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়। হইহুল্লুর পড়ে যায় পুরো বাসাবাড়িতে। এসময় তিনি দৌড় দিয়ে বাসায় ঢুকে নিজেকে আত্মরক্ষা করেন। পরে বিবাদীরা বাড়ির ভেতরে লাগানো বিভিন্ন ফলাদি ফসলের গাছ ও চারা কেটে নির্বিচারে ধ্বংস করে। যাওয়ার সময় বিবাদীরা বলে যায় টাকা না দিলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের খুন, গুম সহ বাসা বাড়ি ত্যাগ করার। বর্তমানে আলমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

উল্লেখ্য যে, আব্দুল বারি অনেক আগেই তিনি তার সহায় সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রয় করে মেজরটিলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাড়াটিয়া বাসা বাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এখনো তিনি নিঃসন্তান।

এবিষয়ে জানতে আলমা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী লন্ডনে, সেই সূযোগে আমার আপন ভাই হয়ে সে এইগুলো করছে। আশপাশ এলাকার প্রত্যেক লোক তার বিষয়ে জানে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্য ছাড়াও বাড়াটিয়া লোকেরাও তার যন্ত্রনায় অতিষ্ট। একারনে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, আজকে ২৭ এপ্রিল রোববার পুলিশ তদন্তে আসলে পুলিশের সামনে সে অশালিন ভাষায় গালিমন্দ করেছে, পুলিশ নিজেই দেখেছে। বিষ খেয়ে মরলেও সেই লজ্জা কাউকে বলতে পারবোনা, মুসলিম হয়ে বিপদে। শুধু তাই নয় পেট্রোল লাগিয়ে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিবে বলেও হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন শাহপরাণ (রহঃ) থানার এসআই হারিছ মিয়া। পুলিশের সামনেই তারা যা করেছে তা পুলিশ নিজেই দেখেছে। তবে হারিছ মিয়ার মুঠোফোন নম্বর না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শাহপরাণ (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ এর সরকারি মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না হওয়ায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ