স্টাফ রিপোর্টের :
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাংবাদিক মুরাদ আহমদকে।
গত ২২ এপ্রিল জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মোঃ মামুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় উক্ত পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অতীতের ন্যায় সংগঠনকে গতিশীল করতে তিনি আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।
তাঁকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক পদে নিয়োগ দেয়ায় সাংবাদিক মুরাদ আহমদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মুরাদ আহমদ ছাত্র জীবন থেকেই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত।৯০ এর দশকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় রাজপথে পল্লীবন্ধু এরশাদ মুক্তি আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে জাতীয় পার্টিতে বিভিন্ন সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।শুরুতেই জাতীয় পার্টির সহযোগী ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ এর নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রতিষ্টাতা সভাপতি,জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির নবীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নবীগঞ্জ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সর্বশেষ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনির নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সহিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মুরাদ আহমদ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামে এক সদ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম মুহাম্মদ ইমতিয়াজ মাষ্টারের ছেলে। তার পারিবারিক মন্ডলে রয়েছে শিক্ষাব্যক্তিত্ব ও জনপ্রতিনিধিত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।তার বড় ভাই মুরশেদ আহমদ আউশকান্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং উপজেলা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। মুরাদ আহমদ নবীগঞ্জ উপজেলার চান্দপুর নিবাসী, বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ও বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুর রহমানের ভাগনা।