নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের পরিবেশও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন (ইসিএভুক্ত) এলাকায় রাতের আধারে পান সুপারির বাগান ধ্বংশ করে ফসলী জমির মাটি কেটে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনচক্র আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের নিষেধঞ্জা অমান্য করে রাতের আধাওে বালু ও পাথর পাচার করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই প্রভাবশালীচক্রের বিরুদ্ধে। বালু ও পাথর উত্তোলনচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে সাধারণ মানুষ। এই চক্রের সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খোলছেনা কেউ। তবে অভিযান পরিচালনা করে কার্যকারী ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানান প্রশাসন।সরেজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে,
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের পশ্চিম লাখের পাড়,বাল্লাঘাট,বাবুল’র জুম,মন্দিরের জুমপাড় ও ডাউকি নদীর তীরবর্তী তৎ সংলগ্ন নদী পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন(ইসিএ-ভুক্ত)এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাঞ্জা অপেক্ষা করে প্রকাশ্যে ফেলুডার-এস্কেভেটর,ও বোমামেশিন দিয়ে ফসলি জমি ধ্বংশ করে মাটি কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করে রাতের আধারে তা বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে একটি প্রভাবশালীচক্র।এতে একদিকে যেমন ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে,তেমনি অন্যদিকে পরিবেশের উপর পরেছে বিরূপ প্রভাব।স্থানীয়রা বলছেন,বালু ও পাথর উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কার্যকারী কোন ব্যবস্থা।সম্প্রতি চিহিত বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা করা হলেও কোন মতেই থামছে না অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন। জামিন নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে পূনরায় আরো বেপুরোয়া ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে। অভিযোগ রয়েছে বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা ফ্যাসিবাদের দোস’রদেও পূর্নভাষণের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোস’রদের ব্যাবহার করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব কর্মকান্ড করে আসছে এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, নিয়মিত অভিযানের পরও কিছুটা লুটপাট চলছে। তিনি আরো বলেন,তাদের অভিযান চলমান রযেছে। এবিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মুহাম্মদ.মাহবুব মুরাদ বলেন,নিয়মিত অভিযানের পরও বালু ও পাথর লুট বন্ধ হচ্ছেনা । আমাদের কোন কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত আছে কিনা,সেই বিষয় বিবেচনা করে গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে কিছু কর্মকর্তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পর জাফলং থেকে পাচার হওয়া বালু ও পাথরের মুল্য প্রায় ৩’শ কোটি টাকা দাবী স্থানীয় এলাকাবাসীর, তারা বলছেন,প্রশাসনের অভিযানের তৎপরতা কতটা কার্যকর হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন? শুধু বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ নয়,অবৈধ চক্রের মূলহোতাদের গ্রেফতারের দাবি সচেতন মহলের ।