শিরোনাম
ভালো কাজের’ লোভ দেখিয়ে মানুষ বিক্রি সিলেটের শাহনাজ ও মুরাদ কা রা গা রে সাবেক কাউন্সিলর মুহিবুর রহমান সাধুর স্মরণে বৌলা গ্রামবাসীর সভা সিসিকের অদৃশ্য প্রজেক্ট দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ সুনামগঞ্জে জাতীয় আইন সহায়তা দিবসে সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত  চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান জগন্নাথপুরে ২৫ পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন সিলেটে ভাই হয়ে বোনের কাছে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, শংকিত প্রবাসী পরিবার ! পীরগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের রাজস্বীক বিদায়
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

চোরাই রাজ্যের রাজা ‘ব্যান্ডিজ’ করিম

স্টাফ রিপোর্টার / ৪৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার:

গত (২৭ মার্চ) সেনাবাহিনীর অভিযানের ঝড়ে সিলেটের চোরাকারবারিদের রাজ্য হিসেবে পরিচিত হরিপুর তছনছ হয়ে গেছে। সেনাসদস্যদের ওপর হামলার ঘটনার পর শুরু হয়েছিল গ্রেফতার অভিযান। এক রাতে চোরাইরাজ্য শুন্য হয়ে পড়ে। গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দেয় চোরাকারবারিরা।

এদের বেশীর ভাগই ভারত পালিয়েছে আর কিছু চোরাকারবারিরা সিলেটের বিভিন্ব স্হানে লুকিয়ে রয়েছে। তবে যতই ঝড় তুফান আসুক রাজ্য ছাড়তে নারাজ চোরাকারবারিরা। সে জন্য বড় অংকের টাকার বিনিময়ে খুছতেছে শেল্টার।

এদিকে হরিপুরের চোরাইরাজ্যের রাজারা রাজ্য হারানোর পর নতুন আরেক রাজার নাম উঠে এসেছে। তবে তিনি এবার হরিপুরকে বেচে নেননি। নিয়েছেন জৈন্তাপুরকে। সেখানেই নতুন রাজা তার রাজত্ব গড়ে তুলেছেন বর্তমানে জৈন্তাপুর চোরাইরাজ্যের নতুন রাজা হলেন করিম আহমদ উরফে ‘ব্যান্ডিজ’ করিম। তিনি নতুন নতুন চোরাকারবারিদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন তার চোরাই সামরাজ্য। এই সামরাজ্যের তিনিই হলেন একা অধিপতি

হরিপুরের ঘটনায় আসামী হলেন যারা:- ১। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত কলিম উল্লাহ, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ২। মোঃ আব্দুল্লাহ (৫০), পিতা-সাইফুল্লাহ, সাং-দলইপাড়া, ৩। আলমগীর হোসেন (৩৫), পিতা-সিরাজ মেম্বার, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৪। আব্দুল হক (৬৫), পিতা-মৃত হাফিজ উল্লাহ, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ৫। সাদ্দাম হোসেন (৩৫), পিতা-সফুর উদ্দিন, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৬। হাজী রফিক আহমদ লুদাই হাজী (৬৫), পিতা-মৃত ওয়াজেদ আলী, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ৭। ফারুক আহমদ (৪৫), পিতা- মৃত আয়াতুল্লাহ, সাং-চাঁনঘাট, ৮। জুবের আহমদ (৩০), পিতা-ইলিয়াছ মিয়া, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৯। রশিদ (৬৫), পিতা-মৃত আহমদ আলী, সাং-উপর শ্যামপুর, ১০। লোকমান আহমদ (৩৫), পিতা-মৃত জমশেদ আলী, সাং-লামা শ্যামপুর (পাটুয়া), ১১। শাহীন আলম (৩০), পিতা-নাজমুল ইসলাম, সাং-উপর শ্যামপুর (হাওরবাড়ী), ১২। মোঃ ইকবাল (৩০), পিতা-মৃত কলিম উল্লাহ, সাং-হেমু হাউদপাড়া, ১৩।জাকারিয়া মাহমুদ (৪৫), পিতা-মৃত মাহমুদ আলী, সাং- হেমু হাউতপাড়া, ১৪। সুরুজ মিয়া (৫৫), পিতা-মৃত মাহমুদ আলী, সাং-হেমু হাউতপাড়া,১৫। মোঃ জামাল মিয়া (২৭), পিতা-ইলিয়াছ মিয়া, সাং-যেমু হাউতপাড়া, ১৬। রেজোয়ান (২৩), পিতা-লুদাই মিয়া, সাং-লামা শ্যামপুর, ১৭। শোয়েব (৩৫), পিতা-আব্দুর রব, সাং-লামা শ্যামপুর, ১৮। মোঃ ইয়াহিয়া মাহমুদ (৩৬), পিতা-মৃত মাহমুদ আলী, সাং-হেমু হাউতপাড়া,১৯।আজিজুর রহমান (৫০), পিতা-ময়না মিয়া, সাং-উত্তর বাগেরখাল, ২০ । ডুবের আহমদ (৩৫), পিতা-মৃত আলা উদ্দিন, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ২১। মোঃ ফখরুল ইসলাম (৩৫), পিতা-আব্দুল আওয়াল, সাং-ঠাকুরেরমাটি, ২২। মোঃ হাবিবুর রহমান (৪৩), পিতা-মৃত আবুল হাসনাত, সাং-শিকারখী, ২৩। পান্না (৩৫), পিতা-ফেদু মিয়া, সাং-হরিপুর, ২৪। আবুল হোসেন (৪০), পিতা-আব্দুল খালিক, সাং-হরিপুর পূর্বটুল, ২৫। জয়নাল (৩৫), পিতা-মুখ্য মিয়া, সাং-লামা শ্যামপুর, ২৬। করেল মেম্বার (৪২), পিতা-রইছ উদ্দিন, সাং-লামা শ্যামপুর, ২৭। শাকিল আহমদ (২৮), পিতা-সামছুল হক, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ২৮। জামিল (৩৬), পিতা-আব্দুল্লাহ, সাং-পূর্ব বালিপাড়া, ২৯। আব্দুল কুদ্দুছ (৩৫), পিতা-মোঃ হোসেন মিয়া ও হছন মিয়া, সাং-উপর শ্যামপুর,৩০। কালাম উদ্দিন (৩৪), পিতা-আব্দুল খালিক, সাং-হরিপুর পূর্বটুল, ৩১। সুমন আহমদ (২৬), পিতা-আব্দুল কুদ্দুছ, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ৩২। মতলিব (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-উপর শ্যামপুর,৩৩। মোহাম্মদ আলী (১৮), পিতা-জহির উদ্দিন, সাং-চাঁনঘাট, ৩৪। ইলিয়াছ আলী (৩০), পিতা-মৃত করিম মিয়া, সাং-লামা শ্যামপুর, ৩৫। আমিনুর রশিদ (৩৮), পিতা-ইয়াকুব আলী, সাং-লামা শ্যামপুর, ৩৬। ফখরুল ইসলাম (৩০), পিতা-মৃত আহমদ আমিন, সাং-লামা শ্যামপুর, ৩৭। শাহ আলম সুকাই (৪০), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ৩৮। নাজিম উদ্দিন (৩০), পিতা-কুটিনা, সাং-জুহাইর টুল, ৩৯। ময়নুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মৃত আব্দুল মালিক (ঘ) আবুল মাল, সাং-হেমু ভাটপাড়া, ৪০। জাহাঙ্গীর আহমদ (৩২), পিতা-মৃত মকবুল হোসেন, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৪১। মোঃ কুতুব উদ্দিন (৫০), পিতা-মৃত ইদ্রিছ আলী, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৪২। সোহেল আহমদ (৩৫), পিতা-আজিজুর রহমান, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৪৩। ফয়েজ আহমদ (৩৮), পিতা-লিয়াকত আলী, সাং-হরিপুর পূর্বটুল, ৪৪। নোঃ ইলিয়াছ আলী (৫৩), পিতা-হাজী ইব্রাহিম আলী, সাং-হরিপুর ৪৫। লোকমান (৩৬), পিতা-মৃত আব্দুল মানিক, সাং-হরিপুর পূর্বটুল, ৪৬। মামুন (৩০), পিতা- মৃত আব্দুল মালিক আবুল মাল, সাং-হেমু ভাটপাড়া ৪৭। মোঃ নাজিম উদ্দিন ফাঁটা নাজিম (৩৮), পিতা-মৃত কালা মিয়া, সাং-হেমু দত্তপাড়া, ৪৮। শামীম (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-হেমু মাঝপাড়া,৪৯। মোঃ আলিম (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-পূর্ব বালিপাড়া, ৫০। এনাম উদ্দিন (৩৪), পিতা-রইছ উদ্দিন, সাং-উপর শ্যামপুর, ৫১। আমির উদ্দিন (৪৫), পিতা-রহমত উল্লাহ, সাং-লামা শ্যামপুর,৫২। সোহেল আহমদ (২৬), পিতা-মৃত আব্দুস সোবান, সাং-লামা শ্যামপুর, ৫৩। অহির উদ্দিন (৫০), পিতা-মৃত সোনা মিয়া, সাং-উপর শ্যামপুর,৫৪। আব্দুল খালেক (৫০), পিতা-মৃত তোতা মিয়া, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৫৫। মানুক (৪২), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং-লামা শ্যামপুর, ৫৬। মোঃ ফয়ছল (৫০), পিতা-মৃত হবি উল্লাহ, সাং-লামা শ্যামপুর, ৫৭। মোঃ ইসলাম (৪০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-লামা শ্যামপুর, ৫৮। মোঃ জুবের (৪০), পিতা-মৃত হাস্থান আলী, সাং-বালিপাড়া, ৫৯। খায়রুজ্জামান (৪২), পিতা-ফজলুল হক, সাং-লামা শ্যামপুর, ৬০। নাজিম (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৬১। কমেল (৪০), পিতা-বশির উদ্দিন এ বশর, সাং-হেমু হাউতপাড়া, ৬২। রিয়াজ উদ্দিন (৪৫), পিতা-সুদাই মিয়া, সাং-দলইপাড়া, ৬৩। আকবর হোসেন (৪৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-হেমু মাঝপাড়া, ৬৪। এখলাছ মিয়া (৪০), পিতা-মৃত আইয়ুব আলী, সাং-উপর শ্যামপুর, ৬৫। সালাম (৩০), পিতা-নাজমুল, সাং-অজ্ঞাত, ৬৬। জিয়াউর রহমান (৪০), পিতা-মৃত কালাম মিয়া, সাং-পাখিটেকি, ৬৭। ইসমাইল আহমদ (৪২), পিতা-হাজী রফিক আহমদ লুদাই হাজী, সাং- হেমু ভাটপাড়া, ৬৮। রুবেল আহমদ (৩৭), পিতা-মৃত পাখি মিয়া, সাং-হেমু মোকামপাড়া, ৬৯। হরমুজ আলী (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-উমনপুর, ৭০। উমর আলী (৬২), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-উমদপুর, সর্বথানা-জৈন্তাপুর, জেলা-সিলেটসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জন।

কে এই করিম:- জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পলাতক লিয়াকত আলীর আস্থাভাজন লোক হলেন এই করিম। আওয়ামিলীগের হয়ে তিনি এমন কোন কাজ বাকি নেই তিনি করেন নি। চোরাচালান, মাদক, থানার দালালি, আদম পাচারসহ সব ধরনের কাজে ছিলেন জড়িত। সে সময় তাকে শেল্টার দিতেন লিয়াকত আলী। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচনি লিয়াকতকে বিজয়ী করতে কয়েক কয়েক লাখ টাকা করিম খরচ করেন। আর এসব টাকা সংগ্রহ করা হয় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে। বর্তমানে এই ব্যান্ডিজ করিম নিজেকে বিএনপির একজন নেতা পরিচয় দিয়ে শুরু করেছেন নতুন ধান্দা।

প্রতিদিন জৈন্তাপুরে কত টাকার চোরাই পণ্যের ব্যবসা হয়? বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, হরিপুরের চোরাইরাজ্য ধ্বংস হওয়া পর এখন জৈন্তাপুরে প্রতিদিন ৩০-৪০ কোটি টাকার রমরমা ব্যবসা হয়। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট সীমান্ত ফেরিয়ে যেসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে তার বেশির ভাগই জৈন্তাপুর বাজারে এসে বৈধ হয়ে যায়।

করিমের নেটওয়ার্ক:- সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, জাফলং, সীমান্তে তার রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। কারন করিমের এ লাইনে নতুন নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে সে এসব কাজ করে নিজেকে পাকাপোক্ত করে ফেলেছে। সেই সাথে সে বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করে সব কিছু নিজের আয়ত্বে নিয়ে এসেছে।

করিম জৈন্তাপুরের নিজপাটের ঘিলাতৈল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় একক নেতৃত্বে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর, মিনাটিলা, ডিবির হাওর, রাজবাড়ী, গোয়াবাড়ী ও লালাখাল এলাকায় বিজিবি’র লাইন নিয়ন্ত্রণ করে।

বিজিবি’র লাইন পরিচালনা করে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। জৈন্তাপুর সদরে রয়েছে তার বিলাসবহুল বাসা, সিলেট নগরীতেও রয়েছে বাসা, নামে বেনামে রয়েছে কয়েকটি বাড়ি। ছেলে, ভাই, ভাতিজা, ভাগিনা, বোনের জামাতা সবাই হয়েছেন তার শেল্টারে কোটিপতি।

জৈন্তাপুরের পশুর হাট ইজারা:- চলতি বছরের জন্য নানা বির্তকের মাধ্যমে ১ কোটি ৫ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন জৈন্তাপুরের পশুর হাট। ভ্যাট, ট্যাক্স মিলিয়ে সেটি দঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়।

এতে তার সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সেনা সদস্যের হামলার ঘটনায় বর্তমানে পলাতক থাকা আব্দুর রশিদ ও উপজলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিজপাট ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইন্তাজ আলী। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সরকারের প্রকৃত ইজারা মূল্য ফাঁকি দিতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পশুর হাট ইজারা নেন। এতে শতাধিক সিডিউল ক্রয় হলেও সিন্ডিকেট করে কেবল করিমের নামে বাজার ইজারা নেয়া হয়। এ নিয়ে জৈন্তাপুর তোলপাড় চলছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন- জৈন্তাপুর সীমান্তের খাঁসিয়া হাওর, শান্তিমাইর জুম করিমের নির্ধারিত লাইনম্যান মোকামবাড়ী গ্রামের রুবেল ও তার ভাই লিটনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়।

এ ছাড়া মোকামপুঞ্জি ও শ্রীপুর তার নির্ধারিত লাইনম্যান মোকামপুঞ্জির বাসিন্দা মাঘাই পাত্র, ছাগল খাউরী, মিনাটিলা, কেন্দ্রী ও লম্বাটিলা কেন্দ্রী গ্রামের উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজান আহমদ রুবেল, ডিবির হাওর ফরিদের বাড়ি, রিভার্স পিলার (ডিবির হাওর আসামপাড়া), ঘিলাতৈল, তলাল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, করিমটিলা, ভিতরগোল, গোয়াবাড়ী নিয়ন্ত্রণ করে করিম নিজেই।

বাইরাখেল, হর্ণি নয়াগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করে তার ব্যবসায়িক পার্টনার বাইরাখেল গ্রামের আব্দুল মালেক ওরফে আব্দুল, জালিয়াখলা, সারীনদীর মুখ নিয়ন্ত্রণ করেন কালিঞ্জি গ্রামের রহিম উদ্দিন ও তার ভাই তাজউদ্দিন।

৫ই আগস্টের পূর্বে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা সামাদ ও আরমানের মাধ্যমে করিম তার বাহিনীর মাধ্যমে জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র নামে কখনো সিও লাইন, কখনো ক্যাম্প লাইন ও কখনো টহল লাইনের মাধ্যমে পণ্য নিয়ে আসা হতো। বর্তমানে করিম নিজেই এ লাইন পরিচালনা করছেন।

অভিযোগ রয়েছে; হরিপুরের চোরাকারবারিরা ভারত পালিয়ে যাওয়ার আগে জৈন্তাপুরের একাধিক খাঁসিয়া জুমে আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের শেল্টার দিয়েছেন করিম।

যেসব পথ দিয়ে আসে চোরাই পণ্য:- জৈন্তাপুর বাজারের চোরাচালানের গরু-মহিষসহ বিভিন্ন পণ্য আসে। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় চোরাই পণ্য নিয়ে আসার ধুম। আর শেষ হয় ভোর রাতে। এ কারণে রাতে জেগে থাকে জৈন্তাপুর বাজার।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- খাঁসি হাওর, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর, মিনাটিলা, আদর্শগ্রাম, কেন্দ্রী দিয়ে সীমান্ত দিয়ে নিয়ে আসা গরু মহিষ শেওলারটুক হয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার মঞ্জিলতলা, কাকুনাখাই, পাঁচ সেউতী হাওর দিয়ে কুওর বাজার, কেন্দ্রী লম্বাটিলা, ডিবির হাওর, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, করিমটিলা, ভিরতগোল, বাইরাখেল, হর্ণি, মাঝেরবিল, সাইনবোর্ড হয়ে বিভিন্ন পথে আসা গরু-মহিষ আসে।

লালাখাল হয়ে নিয়ে আসা গরু-মহিষ দরবস্ত ও চতুল বাজারে প্রবেশ করে। বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন থেকে এসব পণ্য নিরাপদ রাখতে করিমই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ