শিরোনাম
নির্বাচন বানচাল করে তামাবিল স্থলবন্দরের অঘোষিত সম্রাট শাহপরাণ” কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ চালু হলো আধুনিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর শিক্ষার্থীদের ছাউনিতে চায়ের দোকান, বৃষ্টিতে রোদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা। এবার চাঁদাদাবির ঘটনায় ফুকন ডা কা তে র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের নৌ-পুলিশের অভিযানে নৌকা ও চোরাই পাথরসহ আটক ২ মানিকগঞ্জে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। দক্ষিণ সুরমায় আব্দুল আহাদ খান জামাল দেশে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বিজিবি”র যৌথ অভিযানে চৌদ্দলাখ ৭০ টাকার অবৈধ ভারতীয় ব্লেজারের কাপড় আটক সিংগাইরে আইনগত সহায়তা বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত। সামনের দিনে দেশ আরো অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা আছে – ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

নাব্যতা হারানো নদীকেঘিরে সংকটে মৎস্য খাত ও কৃষি।

স্টাফ রিপোর্টার / ৯০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার খরমা, মনাই, সুমেশ্বরী ও গুলাই নদী দীর্ঘদিন ধরে পানি সংকটে ভুগছে। নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে একাধিক সমস্যা—ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য ও নদীকেন্দ্রিক অর্থনীতি।

নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র সেচসংকট তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছেন, অনেক জমিই অনাবাদী পড়ে রয়েছে। নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় মাছের প্রজননও কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় জেলেদের জীবিকায়। অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।

স্থানীয়রা জানান, নৌযান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি করছে। শুকনো নদীর তলদেশে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা ও চাষাবাদ, যা ভবিষ্যতে নদী পুনরুদ্ধারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে নদীতে বর্জ্য ফেলার কারণে বাড়ছে দূষণ।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, “নদীগুলো যেহেতু জনস্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সমস্যা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন আমাদের কাছে পাঠালে, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নদী খননের জন্য অনুরোধ জানাবো।” তিনি আরও বলেন, “যথাযথভাবে নদী খনন সম্ভব হলে বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।”

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনি রায় বলেন, “এই অঞ্চলের নদীগুলো পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। অনেক মাছ ইতোমধ্যে বিলুপ্তির পথে।”

স্থানীয় সচেতন মহল দাবি তুলেছে—নদী খনন ও ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

নদী পুনরুজ্জীবনের কার্যকর উদ্যোগ না নিলে সুনামগঞ্জের পরিবেশ, অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা আরও গভীর সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ