নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদ-উল ফিতরের ছুটিতে সিলেট পর্যটকদের ঢল নেমেছে। প্রাণ ফিরে পেয়েছে জেলার সবগুলো পর্যটন স্পট। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর রয়েছে আইণশৃঙ্খলা বাহিনী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ১৫ লক্ষাধিক পর্যটক সিলেট আসতে পারেন। পর্যটকদেন বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রস্তুত রয়েছে হোটেল গুলোও৷
শুধু নামিদামি স্পট নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের চা বাগানগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে এবার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি এই সিলেট। এখানে বেড়ানোর জায়গার যেন শেষ নেই। উঁচু-নিচু পাহাড়ে ঘেরা সিলেট পাহাড়ের ঢেউ খেলানো চা-বাগান নিমিষেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয় চায়ের রাজ্য সিলেট।
মহানগরের মধ্যে লাক্কাতুড়া, মালনিছড়া, তারাপুর ও দলদলি চা বাগান অবস্থিত। স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সিলেটে বেড়াতে আসলে এসব চা বাগান ঘুরে যাবেন না, তা হতেই পারে না।
এবারের ঈদের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে পর্যটকরা বিভিন্ন চা বাগানে ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। দু-চোখ ভরে দেখছেন দুটি পাতা একটি কুড়ির অপূর্ব দৃশ্য।
ঈদের আমেজে সিলেটের চা বাগানগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। একই দৃশ্য বিরাজ করছে সিলেটের সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, লালাখালসহ অন্যান্য সকল পর্যটন স্পটে।
লাক্কাতুড়া ও মালনিছড়া, গিয়ে দেখা যায়- চা পাতা যতটি-দর্শনার্থীও ততজন। কেউ কেউ প্রথমবারের দেখায় প্রেমে পড়েছেন চা বাগানের সৌন্দর্যে।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ঢাকার বাসিন্দা সুমি বেগম বলেন, আমি প্রথমবার সিলেটের চা বাগানে এসেছি। এর আগে আমি ছবিতে, ভিডিওতে দেখেছি- কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি বাস্তবে চা বাগান এত সুন্দর। এখানে থেকে যেত ইচ্ছে করছে না।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া সাইফুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে ও কেন্দ্রগুলোর বাইরে পুলিশের টহল সব সময় আছে। কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।