শিরোনাম
থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার আসামী গ্রেফতার ৬ পাথরকুয়ারী খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বদরুজ্জামান সেলিম কোম্পানীগঞ্জে বড় ভাই’র কেঁচির আঘাতে প্রাণ গেল প্রবাসী আপন ছোট ভাইয়ের  ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টসহ আশপাশে রেলওেয়ের অভিযানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ  ২৭ বছর পর পৌরসভায় অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর কর্মশালার উদ্বোধন  পঞ্চগড়ে বৈশাখী নাট্য উৎসবের আয়োজন।  গাজীপুরে আম ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গর্ভের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু আহত ৮  বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা “মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ” পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্মে লিপ্ত কে এই লোকমান? ৫৫বছরে বিএবিএসএস’ সম্পন্ন করলেন বৃদ্ধবয়সী “খাইরুল বাসার”
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়নি!

স্টাফ রিপোর্টার / ৪১ Time View
Update : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

বরিশাল প্রতিনিধি:

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন উল্লেখযোগ্য কর্মসূচিই পালিত হয়নি। ক্যাম্পাসে চোখে পড়েনি কোনো আলোকসজ্জা, হয়নি কোনো র‍্যালি বা আনুষ্ঠানিকতা। বরিশাল শহরের ত্রিশ গোডাউনস্থ বধ্যভূমিতে সকাল ৮টায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমেই দিবসটি পালন করেছে ববি প্রশাসন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ববি প্রশাসনের এমন নির্লিপ্ততায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা৷

 

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৫ মার্চ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে রেজিস্ট্রার একটি নোটিশ জারি করেন। উক্ত নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছ, উপাচার্য দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বরিশাল ত্রিশ গোডাউনস্থ বধ্যভূমিতে সকাল ৮টায় শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করবেন। উক্ত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। দিবসটি ঘিরে এর বাইরে আর কোন কর্মসূচি পালিত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছুটির দিনেও উপাচার্য কীভাবে ঢাকায় দাপ্তরিক কাজে থাকেন বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ মার্চ দুপুর পর্যন্ত স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কোন কর্মসূচি ছিলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও উপ-উপাচার্য রেজিস্ট্রারের কাছে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি জানতে চাইলে পরে উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে বিকেলে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবস উদযাপনের কর্মসূচি জানিয়ে নোটিশ জারি করা হয়।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উপাচার্যের অদূরদর্শিতা ও অনিহার কারণেই আজকে এমন অবহেলিতভাবে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবসটি।

 

অন্যান্যবার দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, র‍্যালি, আলোচনা সভা ও নানা কর্মসূচি পালন করা হলেও এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু ত্রিশ গোডাউনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যেই উদযাপন সীমাবদ্ধ ছিল। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশগ্রহণের বিষয়ে তাদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। যদিও শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস নির্ধারিত ছিল, তবুও পূর্ব ঘোষণা না থাকা এবং এই সংক্রান্ত কোন নোটিশ জানতে না পারায় আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিতে পারেননি।

 

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন কেয়া বলেন, “মহান স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়। এই বিশেষ দিনটি জাতীয় চেতনাকে উজ্জীবিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি না থাকা হতাশাজনক।”

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, “স্বাধীনতা দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমরা আশা করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে, কিন্তু তারা সেটি করেননি। এটা আমাদের শহীদদের প্রতি অসম্মানজনক। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।”

 

এছাড়াও কয়েকজন শিক্ষার্থী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে এমন অনাগ্রহ দুঃখজনক। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে, সেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নিষ্ক্রিয়তা হতাশাজনক ও দৃষ্টিকটু।”

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশিত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ২৫ মার্চ বিকেলে একটি নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উৎযাপিত হবে। সেই অনুযায়ী আমরা আজকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। স্বাধীনতা দিবস ঘিরে আরও বড়পরিসরে কর্মসূচি নেওয়া উচিত ছিলো বলে জানান তিনি৷ কেন বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলতে পারবেন।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি। পরে উপাচার্যের পিএস মিজানুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এখন বন্ধ সবাই প্রায় বাড়িতে চলে গেছেন এজন্য তেমন বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। আর উপাচার্য ভর্তিপরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ