নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিয়ানীবাজার পৌরসভা ছিল আশরাফ সিন্ডিকেটে জিম্মী। ২০কোটি টাকা হাতিয়ে অন্যত্র বদলী।মেয়র-কাউন্সিলার, সবার উপর ছিল তার ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ। টেন্ডার-উন্নয়ন কাজে তার ছিল একক আধিপত্য। দরপত্রের গোপন মূল্য বা ‘রেট শিডিউল’ ফাঁস করতেন নিয়মিত।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার নকঁশাকার হিসেবে প্রায় ২০ বছর থেকে কর্মরত ছিলেন আশরাফুল ইসলাম। যদিও পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সকল কাজ তিনি একাই সামলাতেন। প্রশাসক থেকে নির্বাচিত একাধিক মেয়র-কাউন্সিলার, সবার উপর ছিল তার ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ। কেবল পৌরসভার উন্নয়ন কাজে নয়-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপরও খবরদারি করতেন তিনি।
নকঁশাকার আশরাফের প্রভাবে বিয়ানীবাজার পৌরসভায় কোন প্রকৌশলী থিতু হতে পারেননি। এই সময়ে ৬ জন প্রকৌশলী আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। তাদের সর্বোচ্চ মেয়াদ ছিল ৪-৬ মাস।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী আশরাফুল ইসলাম বর্তমানে অন্যত্র বদলী হয়েছেন। জুলাই অভ্যুথানে নিহত শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মো: তুরাবের নামে পৌর এলাকার ফতেহপুর রাস্তার নামকরণ নিয়ে জঠিলতা সৃষ্টি করেন তিনি। ওই ঘটনায় ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে তিনি নিজ থেকে বদলী হয়ে যান। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর পৌরসভায় যোগদান করেছেন তিনি।