সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা গণপদযাত্রা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে এক বিক্ষোভকারীর চুল টেনে ধরেন ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’–এর গণপদযাত্রায় পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আবদুল্লাহ আল মামুনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। পাশাপাশি জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ধর্ষণের বিচারের দাবিতে তৈরি হওয়া এই প্ল্যাটফর্মটি।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্ল্যাটফর্মটি এমন দাবির কথা জানায়। সংগঠনটি বুধবার (১২মার্চ) সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী একটি মশালমিছিল কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানিয়েছে।
প্ল্যাটফর্মটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ৯ দফা দাবিতে তাদের যমুনা অভিমুখে গণপদযাত্রা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে পুলিশ ভয়াবহ হামলা চালায়। হামলায় নারীসহ ১৫ জন আন্দোলনকারী আহত হন। আন্দোলনে নারীদের ওপর ডিএমপির রমনা বিভাগের এসি আবদুল্লাহ আল মামুনের ন্যক্কারজনক হামলা আবারও পুলিশের গণবিরোধী চরিত্রের উন্মোচন ঘটিয়েছে।
ধর্ষক-নিপীড়ক-খুনিদের ঠেকাতে ব্যর্থ পুলিশ বাহিনী গণমানুষের ক্ষোভের বিচ্ছুরণ ঠেকাতে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বলপ্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করে প্ল্যাটফর্মটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই হামলার দায়, পুলিশ প্রশাসনসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে নিতে হবে। আজকের হামলা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবির যথার্থতা প্রমাণ করে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এসি মামুনের অপসারণ ও তদন্ত সাপেক্ষে হামলায় জড়িত অন্য পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে। পাশাপাশি রাজপথের কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আরও বলা হয়, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করতে চায়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামল থেকে টেনে আনা পুলিশের ধর্ষক-নিপীড়ক-অপরাধের পাহারদারি ও মজলুমের ওপর অত্যাচারী চরিত্রের অবসান ব্যতীত, মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের গণমুক্তির আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই নিপীড়ক হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা, ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ধর্ষক-নিপীড়কদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের নিম্নবর্ণিত কর্মসূচিতে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান ব্যক্ত করছি।