ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টিতে স্বর্ণের গহনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টাকালে জনতার ধাওয়ায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ডাকাতদল। রোববার (৯ই মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে ঝালকাঠি শহর। এতে আতঙ্কিত হয়ে পরে শহরবাসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইফতারের কিছু আগে নীল রঙের একটি পিক-আপ ডাক্তার পট্টিতে জুয়েলারির দোকানের সামনে এসে থামে। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন একটি বন্ধ জুলোরির দোকানের সাটারের কাটার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় তাদেরকে ডাকাত সন্দেহে ঘিরে ফেলে এলাকাবাসি। এ সময় তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে এলাকাবাসি। এই সুযোগে ওই পিক-আপে উঠে দ্রæত গতিতে শহরের সাধনার মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, চাঁদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি-বরিশাল সড়েেক উঠে নলছিটির ষাটপাকিয়া হয়ে বরিশালের দিকে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।
এসময় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ লাইনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এবং ষাইটপাকিয়া অতিক্রম করার সময় পিক-আপটিকে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২ জন পুলিশ সদস্য ও ১জন পথচারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ডাকাতি চেষ্টা, বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, “সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য সবাই যে যার মতো ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল কিন্তু তা স্থানীয়দের সচেতনতার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। আমরা সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে শনাক্তকরণের চেষ্টা করছি।