সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় গত ৮ দিন ধরে জলমহালে গণহারে লুটপাট চললেও একটি বৃহৎ জলমহালের মাছ লুট ঠেকিয়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী ও এলাকাবাসী।
শনিবার (৮ মার্চ )ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর ও দত্ত গ্রামে সোমা গ্রুপ জলমহালের নাইন্দা বিলে মাছ লুটকারীদের ঠেকানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বাসুরী গ্রামের বড় হুগলী নামে একটি বিলের মাঠ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি জানিয়েছেন বড় হুগলী বিলে মাছ ধরার বিষয়টি কেউ জানায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায় , শতশত মানুষ শুক্রবার রাতে বাসুরী গ্রামের বড় হুগলী নামে একটি বিলের মাঠ লুট করে নিয়ে যায়। এরপর শনিবার সকালে ৬-৭ হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরনের জাল, কুছা ও পলো নিয়ে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর ও ভাটিপাড়া ইউনিয়নের দত্তগ্রামের মধ্যবর্তী সোমা গ্রুপ জলমহালের নাইন্দা বিলের মাছ ধরার প্রস্তুতি নেয়।
বিলের ইজারাদারদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ওসি ও সেনাবাহিনী সদস্যরা দ্রুত বিলের পাশে যান। এ সময় আনোয়ারপুর ও দত্তগ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় মাছ লুটকারীদের প্রতিহত করে, মাছ লুটপাটকারীদের কয়েকটি পলো ভেঙে ও কয়েকটি জাল ছিড়ে দেওয়া হয়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,‘ নাইন্দা বিলে মাছ ধরার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় মাছ লুটকারীদের প্রতিহত করা হয়েছে। মাছ ধরার কয়েকটি পলো ভেঙে ও কয়েকটি জাল ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জলমহালের নিরাপত্তায় সচেষ্টা রয়েছে। যেখানেই সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই লুটপাটকারীদের ঠোকানোর চেষ্টা চলছে। বড় হুগলি বিলে রাতে মাছ ধরার বিষয়ে কোনকিছু জানা নেই।’
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজিব সরকার বলেন,‘ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে জোর করে মাছ ধরতে বিভিন্ন জলমহালে নেমে পড়ে। যেখানেই সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লোকজনকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। গতকাল সকালে সোমা গ্রুপ জলমহালের একটি বিলে মাছ ধরতে আসা লোকজনদের সরিয়ে দিয়েছি। স্থানীয় লোকজন সচেতন হলে এবং সহযোগিতা করলে এসব রোধ করা সম্ভব। ফেসবুকে দেখেছি বড় হুগলি বিলে নাকি রাতে মাছ ধরা হয়েছে। তবে ইজারাদার বা কেউ যোগাযোগ করেনি, তাই এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।