আব্দুল মুক্তাদীর:
সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও কালো গ্লাসের আড়ালে চোরাচালান, অবৈধ পণ্য, অপহরন, নির্যাতনের মত ঘটনা ঘটছে।
সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায়ই কালো গ্লাসের গাড়ী দেখতে পাওয়া যায়। এসব কালো গাড়ি দিয়ে হেরইন, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা, অস্ত্র, গাড়ির পার্টস ইত্যাদি বহন করে থাকে।
এছাড়াও নগরীতে কালো গ্লাসের গাড়ি দিয়ে প্রায়ই অপহরন ও নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়। কালো গ্লাসের গাড়ি দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌছে যায়। এসব গাড়ির ভিতরে কি হচ্ছে বা কি আছে বা কে আছে তা চিহ্নিত করা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য। ফলে কালো গ্লাসের গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম ও চোরাচালান সিলেটে বেড়েই চলেছে।
পুলিশের ধারণা কালো গ্লাসের গাড়ি গুলো ভিআইপিরা ব্যবহার করছে। কিন্তু ভিআইপির আড়ালে কালো গ্লাসের গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের সামনেই। এ যেন দেখার কেউ নেই।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগের জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীর ও সাবেক এমপিরা কালো গ্লাসের গাড়ি দিয়ে আত্ম গোপনে রয়েছেন বা অনেকে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সচেতন মহল মনে
করেন কালো গ্লাসের গাড়ি গুলো যদি না থাকতো তাহলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকমীর্রা পালাতে না পারত। এদিকে ৫ আগস্ট এর পর কালো গ্লাসের গাড়ী দিয়ে অপহরন ও চোরাচালান বৃদ্ধি পায়। পুলিশ সাদা গ্লাসের গাড়িগুলো চেক করে বা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিছু কিছু চোরাচালান আটক করে। কিন্তু অপহরনের কর্মকান্ড চিহ্নিত করতে পারেনি কালো গ্লাসের গাড়ির কারণে।
২০১৪ সালের মে মাসের এসএমপির অভিযানের প্রায় পঞ্চাশটি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পর আর এখনো পর্যন্ত কালো গ্লাসের গাড়ির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে দিনদিন বেড়েই চলেছে কালো গ্লাসের গাড়ির অপকর্ম। তবে এ ব্যাপারে এসএমপির সহকারি কমিশনারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, কালো গ্লাসের গাড়ি শুধু প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তারা ব্যবহার করতে পারবে। অন্যথায় আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। তবে কালো গ্লাসের গাড়ির বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।