শিরোনাম
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তি সভা অনুষ্ঠিত   সিলেটের পাথর কোয়ারি গুলো খুলে দেওয়া হবে না: বন, জলবায়ু ও পরিবেশ উপদেষ্টা শান্তিগঞ্জের বেতকোনা গ্রামের স্বামীর বাড়িতে সন্তান নিয়ে যেতে পারছেন না কলি      শ্রীবরদী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় জিরা ভর্তি অটো ভ্যান আটক ছাতকে গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামী আলা উদ্দিন গ্রেফতার   ছাতকের পল্লীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১৫ জন   জাফলংয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পর্যটকের ওপর হামলা  সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় পর্যটকদের পদচারণায় মুখর,বিজিবি”র টহল জোরদার পদ্মা সেতুর প্রকল্পের ২ কিলোমিটার দীর্ঘ রক্ষা বাঁধে ধস।
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন

বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীরা পাচ্ছেন গ্রেফতারের ক্ষমতা!

স্টাফ রিপোর্টার / ৯৩ Time View
Update : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

সিলেট বুলেটিন ডেস্ক:

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে যারা নিয়োজিত তারা পুলিশের ‘সহায়ক বাহিনী’র মর্যাদা পাচ্ছেন। তারাও প্রয়োজনে গ্রেফতার করতে পারবেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আইনবলে তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে শপিং সেন্টারগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিভিন্ন শপিংমল, শপিং সেন্টার ও গেট দিয়ে ঘেরা বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনবলে অক্সিলারি (সহযোগী) পুলিশ ফোর্স নিয়োগ ক্ষমতা আমার আছে। সেই ক্ষমতা মোতাবেক আমি বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তাদের হাতে একটি ব্যান্ড থাকবে। লেখা থাকবে সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা।’

নগর পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আইন মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন ও গ্রেফতারের ক্ষমতা পাবেন। পুলিশ অফিসার আইনগতভাবে যে প্রটেকশন পান এই অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরাও প্রটেকশন পাবেন।’

সাজ্জাত আলী বলেন, ‘তারাবির নামাজের সময় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে জনশূন্যতা তৈরি হয়। বিশেষ করে পুরুষ মানুষ তারাবি নামাজে থাকেন। আপনারা বাড়ি, ফ্ল্যাট দোকান যত্নে রেখে আসবেন। নিরাপত্তাটা খেয়াল করবেন।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আশা করছি ১৫ রমজান থেকে ঢাকাবাসীর অনেকেই ঈদ উপলক্ষে গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন। আমি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনাদের জানাতে চাই এবং অনুরোধ করতে চাই, যখন আপনারা বাড়ি যাবেন, তখন আপনার বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করবেন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশের স্বল্পতা রয়েছে। অনেকেই ছুটিতে যাবে বা যেতে চায়। যারা ব্যারাকে থাকেন, তারা দীর্ঘ সময় পরিবার ছাড়া থাকেন, তাদের একটা পার্সেন্টেজকে সরকারের নির্দেশে ছুটি দিতে হয়।’

ঢাকা এখন যেসব অপরাধ ঘটছে সেগুলোকে তিনি ‘স্ট্রিট পেটি ক্রাইম’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ঢাকায় যা ঘটছে তাকে ‘স্ট্রিট পেটি ক্রাইম’ বলে। যেমন—মোবাইল টান দেওয়া। তারা মোবাইল নিয়ে দৌড় দেয়। এর চেয়ে সহজভাবে কোনো অপরাধ করা যায় না। সবচেয়ে ছোট অপরাধটি করা সহজ। যারা এ কাজটি করছে তাদের বয়স ১৫-২০ বা ২২ বছর।’

কমিশনার বলেন, ‘ইদানীং কিছু স্ট্রিট অপরাধ হচ্ছে। ৮০-০ ভাগ ক্ষেত্রে সেটি করে উঠতি বয়সের ছেলেরা। আমরা যাদের কিশোর গ্যাং বলি। বাস, প্রাইভেটকার মোটরবাইকের যাত্রী হয়তো মনোনিবেশ করেন কথায়, তখন পেছন থেকে এসে মোবাইলটা টান দিয়ে দৌড় দেয়। এমন কিছু স্ট্রিট ক্রাইম হচ্ছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, যুগ্ম কমিশনার রবিউল (ডিবি) ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম, রমনার ডিসি মাসুদ আলম, ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের মুহাম্মদ ডিসি তালেবুর রহমান প্রমুখ।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ