নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাজারো ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মাহুতির বিনিময়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সদস্য খোকন আহমদকে আসামী করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেছেন যুবলীগ নেতা শাহেল আহমদ। এমন একটি মামলার ঘটনায় নগরীতে আলোচনা—সমালোচনার ঝড় বইছে।
আওয়ামী যুবলীগ নেতা শাহেল আহমদ ১৯ আগস্ট ২০২৪ ইং এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় খোকন আহমদকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন, তার মামলা নং— ০১।
সিলেট মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আওতাধীন ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেল আহমদ মিথ্যা ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র—জনতা আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহনকারী সিলেট জেলা ছাত্রদলের সদস্য খোকন আহমদকে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট দক্ষিণ সুরমার খোজারখলাস্থ মারকাজ পয়েন্টে থেকে কাজিরবাজার ব্রীজে উঠার সময় রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ মিনিটের সময় খোকন আহমদ ৩টি মটরসাইকেল নিয়ে শাহেল আহমদ ও ইফতেখার হোসেন ইশরাতের উপর হামলা চালায়। হামলায় তারা গুরুতর আহত হন। সম্পূর্ন মিথ্যা একটি সাজানো ঘটনায় প্রকাশ্যে ছাত্র—জনতার আন্দোলনের হামলাকারী যুবলীগ নেতার মামলা কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়া রের্কড করায় তৎকালিন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আবুল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, যুবলীগ নেতা শাহেল আহমদের বিরুদ্ধে ছাত্র—জনতার আন্দোলন চলাকালে তাদের উপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। মামলায় যুবলীগ নেতা শাহেল যে সকল অভিযোগ এনেছেন ছাত্রদল নেতার খোকনের বিরুদ্ধে। পুলিশ পরবর্তী সময়ে তদন্তকালে এধরনের কোনো প্রমাণাদি পায়নি। অভিযোগে শাহেল উল্লেখ করেন, তিনি থানায় হাজির হয়ে অভিযোগটি দাখিল করেছেন। এই নিয়ে নানাবিধি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ! একজন ফ্যাসিস্ট সরকারে দোসর যে ছাত্র—জনতার উপর হামলায় জড়িত, সে কিভাবে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দাখিল করে। তা থেকে প্রমাণিত হয় তৎকালিন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আবুল হোসেন দোসরদের সহযোগি হয়ে কাজ করেছেন এবং তাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করেছেন।
জানা গেছে, এমন মামলা সম্পর্কে ইতোপূর্বে কিছুই জানেন না ছাত্রদল নেতা খোকন আহমদ। হঠাৎ করে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম বলেন, যুবলীগ নেতা শাহেল ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ছাত্রদল নেতা খোকনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। খোকনের অপরাধ সে ছাত্র—জনতার আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালে সে সক্রিয়ভাবে সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলো। ছাত্র—জনতার একটি আন্দোলনের পর একজন ফ্যাসিস্ট দ্বারা ছাত্রদল নেতাকে আটকের তীব্র নিন্দা জানান তিনি এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবী জানিয়েছেন।