কোম্পানীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানের সাজানো মামলা থেকে খালাস আজকের সিলেটের প্রধান সম্পাদক সাইফুর তালুকদার
নিজস্ব প্রতিবেদক ; কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিরীহ মানুষের কাছে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে কয়েকজন আতঙ্কিত জনপ্রতিনদের মধ্যে অন্যতম একটি নাম ইকবাল হোসেন ইমাদ।যিনি ছিলেন মিডিয়া বিদ্বেষী। তার মধ্যে অনেক মিডিয়া তার বিরুদ্ধে আতঙ্কের কারণে সংবাদ প্রকাশ না করলেও তার মধ্যে কেউ কেউ কিছু লিখলে সে সংবাদ কর্মীকে সর্বোচ্চটুকু হয়রানি, হুমকি – ধামকি দিয়েই থাকতেন তিনি। সেখানে ক্লান্ত হতেন না ইমাদ। আদালতেও থাকতো তার নির্ধারিত উকিল। থাকতো হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি। তার সেই গ্যাড়াকলে পড়েছিলেন সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে সিলেটের এক সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুর রহমান তালুকদার।
যিনি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সিলেটের প্রথম নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের সিলেটের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব রয়েছেন। রয়েছেন দৈনিক দিনকাল এর সিলেট অফিসের স্টাফ রিপোর্টা এর দায়িত্বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের মানুষ যখন বন্যা কবলিত পানিবন্দি তখন পবিত্র ঈদ উল আযহার সময় দুর্গতদের জন্য দেয়া গরু আত্মসাৎ করেন তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শালিসও হয়। এর সূত্র ধরে সিলেটের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টাল আজকের সিলেট সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় সংবাদ। এর জের ধরে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সাংবাদিক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার সহ ১৩জনকে আসামী করে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন আওয়ামীলীগ নেতা ইঊপি চেয়ারম্যান ইমাদ। মামলাটি দায়েরের পর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় আদালত থেকে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) কে।
পরে তৎক্ষালীন সরকার দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের দাপটে এবং তাদের পরামর্শে সম্পূর্ণ অন্যায় ও ভিত্তিহীন ভাবে ৩ জন সাংবাদিক সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। এর পর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত।
সর্বশেষ দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে মামলাটি খারিজ করে দেন মহামান্য আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মনজুর আহমদ বিষয়টি মিডিয়াকে নিশ্চিত করেছেন ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে।
এম সাইফুর রহমান তালুকদার নিশ্বাস ফেলে বলেন , আর হয়তো আমাকে দেশ ত্যাগ করতে হবে না। তবে আদালত চাপমুক্ত থাকলে নিরীহ মানুষরা বিচার পাবে এমনটাই প্রমাণ হলো শেষমেষ এ মামলার খারিজে।
তিনি বলেন, অন্যায় ভাবে প্রভাব বিস্তার করা দলীয় পদ পদই ব্যবহার করে, মানুষের লুটপাট মিথ্যা মামলায় হয়রানি হাতে গোনা কিছু মানুষ করলেও পুরো আওয়ামী পরিবারকে আজকে তার খেসারত দিতে হচ্ছে । সেটি একটি শিক্ষনীয় বিষয়।
উল্লেখ্য, মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছিলেন মিডিয়া আঙ্গনে এম সাইফুর রহমান তালুকদার ।
যিনি সিলেটের মিডিয়া অঙ্গনের পরিচিত মুখ ও সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। এম,সাইফুর রহমান তালুকদার সিলেটে বসবাস করলেও তিনি মূলত বালাগঞ্জের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।