সিলেটে আহত ওসমানীর কর্মচারী, মাথা-ব্যাথা নেই প্রাইভেট কারের মালিক-চালকের
স্টাফ রিপোর্টার:: সিলেটে প্রাইভেট কার চাপায় মারাত্মক আহত হয়েছেন ওসমনাী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী হাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে তার ছেলে তানভীর রহমান তানিম (২১) বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ (নং ৫০/২৩/১০/২৫) দায়ের করেছেন।
হাফিজুর রহমান (৫০) নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন ২৫/২ নং বাসার বাসিন্দা। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ অক্টোবর দুপুর সোয়া ২টার দিকে হাফিজুর রহমান বাসায় ফেরার পথে কাজলশাহ এলাকায় পৌঁছামাত্র ঢাকা-মেট্টো- গ- ১৩-১২১১ (টয়োটা এলএক্স লিঃ) প্রাইভেট কারটি বেপোরায়া গতিতে এসে তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়ীটির অজ্ঞাতনামা চালক দুটি চাকা হাফিজুর রহমানের পায়ের উপর দিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তার গোড়ালীসহ পায়ের বিভিন্ন স্থান অংশের হাড় ভাঙে এবং বিভিন্ন স্থালে ছেঁচাফুলা জখম হয়। তখন প্রত্যক্ষদর্শীরা এসে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা গাড়ীটিও ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তার পায়ে অন্তত ৫বার অস্ত্রপচার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তানভীর রহমান তানিম। সিলেটভিউর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, পরে সিলেটের গাড়ী চালকদের সহযোগীতায় ওই গাড়ীর নম্বর ও চালকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। তারা সামান্য চিকিৎসা সহায়তাও প্রদান করেন নি।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাড়ীটির মালিক নির্মল সিংহ। তিনি জানান, তার বাড়ী কমলগঞ্জ উপজেলায়। দুর্ঘটনার খবর শুনে তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং কিছু আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন। এর বেশী কিছু করার সাধ্য তার নেই। আইনে যদি ড্রাইভারের শাস্তি হয়ও তার কিছু করার নেই।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. মোস্তাফিজুর রহমানে মোবাইলে কল দিলেও ছুটিতে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ওসি (তদন্ত) স¤্রাট জানান, ওসি স্যার ছুটিতে। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারবেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলীর মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলাটির এফআইআর হয়েছে। অন্যান্য আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।