গভীর রাতে শ্রীমঙ্গল বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী কার ঘরে? ভিডিও ভাইরাল প্রশ্ন জনমনে।
বিশেষ প্রতিবেদক::শ্রীমঙ্গল ( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির এক নেতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক বিধবা মহিলার ঘরে অসামাজিক কাজে তাকে পাওয়ার পর স্থানীয়রা সেখানে হানা দিয়ে আটকে রাখে।যে করে ঘটনা সে ঘরের মহিলারা তাকে সুতা বা রশি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছেন এমনটি দেখা যায় ভিডিওতে। ওই ঘরের কমলে নিচ থেকে তাকে টেনে বের করা হয় এমনটাও আছে চিত্রতে। যেটিয়ে কোন শ্রীমঙ্গলের "টক অফ দ্যা টাউন,,
শুক্রবার গভীর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শংকরসেনা এলাকার মৃত পাকি মিয়ার বিধবা মেয়ে নাসরিন (৩৫) এর ঘরে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলীর উপস্থিতি ও শুয়ে থাকার কারণে ঘটনাটি ঘটে।।
ভিডিওতে দেখা যায়,একটি বাড়ীর পাকা ঘরে এম,ইদ্রীস আলী একজন সুন্দরী মহিলার সাথে রয়েছেন এবং কয়েকজন যুবক তাকে রশি দিয়ে বেঁধে ওই মহিলার সাথে এত রাতে এখানে কী করছেন ? এমন প্রশ্ন করেন। তাকে ইদ্রীস আলী বলেন,ওই মহিলা ও না কি তার বিবাহিত। কিন্তু যুবকরা কাবিননামা আছে কি জানতে চাইলে না দেখিয়ে ইমাম সাহেব ডেকে আনার কথা বলেন ইদ্রিস আলী নিজেই। তবে বিধবা মহিলা নাসরিন (৩৫) এর ঘরে ভিডিও না করতে স্থানীয় যুবকদের আকুতি করেন ইদ্রিস আলী রাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে এসআই সজীব জানান,রাতে ওই বাড়ীতে প্রচুর লোকজন ছিল,আমি মেয়েকে জিজ্ঞাসা করি তার কোন অভিযোগ আছে কিনা কিন্তু ওই মহিলা ইদ্রীস আলীর বিবাহীত স্ত্রী বলে জানান। কিন্তু এর পক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই বলে এসআই সজীব জানান। পরে এলাকাবাসীর চাপে ইদ্রীস আলী ওই মহিলার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শর্তে তারা ওই বাড়ী থেকে চলে যান।
তবে হেলেনা বেগম নামে ইদ্রিস আলীর একজন বৈধ স্ত্রী রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তিনি রীতিমত সংসার করে যাচ্ছেন তার সাথে। এ কারণেই স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে বিধবা নাসরিন কিভাবে দাবি করছে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী?
এদিকে ইদ্রীস আলীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা বেগম জানান,তার স্বামী যে নতুন কোন বিবাহ তিনি জানেন না।তবে ইদ্রিস আলী facebook লাইভে এই ঘটনাকে ছাত্রলীগের মব সন্ত্রাস বলে দাবি করেছেন। ঘটনা পরিকল্পিত বলে মানববন্ধন ও হয়েছে শ্রীমঙ্গল শহরে।মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা সে বিষয়টা প্রতি দেখছেন বলেও জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে ইদ্রিস আলীর সম্পৃক্ততার সত্যতা পাওয়া গেলে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা বলেও জানান কেউ কেউ।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন বলেন বিএনপি এমনিতেই রাজনৈতিক সংকটাপন্ন অবস্থা অতিবাহিত করছে, এমন অবস্থায় কোন ব্যক্তির কারণে দলের বদনাম হবে এটা মেনে নেয়ার মত নয় কারণ ব্যক্তির চেয়ে দল বড়,।কারো দায় দল নিবেনা। উল্লেখ্য, স্থানীয়দের দাবি প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin