প্রকৃতির সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া এক বন কর্মকর্তার নাম আহমদ আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট বনবিভাগের একজন বনের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আহমদ আলী। পদ পদবীতে খুব একটা বেশি নয় বিট অফিসার মাত্র। দায়িত্বশীলতা , আর মন-মানসিকতা সরকারের বন বিভাগ রক্ষায় তার জীবন বাজি রাখা চাকরি জীবন থেকে নিত্যদিনের মতো।
আহমদ আলী মূলত বন বিভাগের একজন, এফ,জি। কিন্তু তার কর্মের পরিধি বিশাল । শুধু জীবন বাজি রেখে বন রক্ষা নয় বিভিন্ন সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মন রক্ষা করতে পারেননি অনেকের। ৷
বন সম্পদ রক্ষায় অনেক বন খেতুকে মোকাবেলা ও করতে হয়েছে তাকে। আই নি মোকাবেলা করতে আদালত এর দ্বারস্থ হতেও হয়েছে। একটি কথা আছে মাথা আছে যার ব্যাথা ও তার । সেই জায়গা থেকে আহমদ আলী একজন লেখক। সেই জায়গা থেকে একজন বন গবেষক।
সততার জন্য ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি একজন গুণী লেখক, যার বেশ কয়েকটি গ্রন্থ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে পাঠকমহলে।
শুধু লেখকই নয়— আহমেদ আলী একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পল্লি চিকিৎসক এবং আইন বিভাগে স্নাতক (এল.এল.বি) ডিগ্রিধারী। কর্মজীবনে তাঁর দক্ষতা, মানবিক মনোভাব ও বন সংরক্ষণে অঙ্গীকার তাঁকে সহকর্মী ও জনগণের মাঝে একটি বিশেষ মর্যাদায় স্নান করে দিয়েছে।তাঁর নিরলস পরিশ্রম ও সততার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে করেছেন সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ।
প্রকৃতির সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়া এক ব্যক্তির নাম আহমদ আলী ।রাজকান্দি রেঞ্জের কামারছড়া বিটের সংরক্ষিত বনে যোগদান করে গর্জন কাঠ বুজাই গাড়ি সহ দুই জন আসামি ধৃত করিয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়। এবং প্রায় ১০ হেক্টর বন ভূমি উদ্ধার সহ এরকম অনেক নজির আছে তার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়েছেন তিনি আদালতের কাঠগোড়ায়।
মূল কথা হলো তিনি একজন দায়িত্বশীল বিট কর্মকর্তা। চাকরির পাশাপাশি বন বিভাগের কর্মচারীদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে দিয়ে যাচ্ছেন এদেরও নেতৃত্ব। বন বিভাগের লোকজনের কল্যাণে ঊপর মহলের সাথে প্রায়ই তাকে তার দেন দরবার। তিনি কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।