শিরোনাম
সুনামগঞ্জে ভূয়া জুলাইযোদ্ধা ফয়ছলের বিরুদ্ধে সচিব ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের চোরাচালানে ব্যর্থ হলেও  মাদক উদ্ধারে সফল এস এমন পি   বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে সর্বক্সেত্রে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটবে সিলেট ৬ আসনে —–তামিম ইয়াহয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা  হবিগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে মহা সড়কে ট্রাক ভর্তি ১২০ বস্তায় ৬য় কেজি জিরা সহ আটক ২ ছাতক সদর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে বিএনপির পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা  ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ: টাকা দিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা ছাতকের নোয়ারাই ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভা অনুষ্ঠিত  সুনামগঞ্জ শান্তিগঞ্জের নিরীহ পরিবারের ওপর হামলা, আহত ৩০ সিলেটের ‘চোর পপি’ চক্রের দৌরাত্ম্য ও খুঁটির জোর কোথায়?
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

চোরাচালানে ব্যর্থ হলেও  মাদক উদ্ধারে সফল এস এমন পি  

স্টাফ রিপোর্টার / ৪৭ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

চোরাচালানে ব্যর্থ হলেও  মাদক উদ্ধারে সফল এস এমন পি  

 

স্টাফ রিপোর্টার :সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম অপরাধমুক্ত সিলেট গড়ার প্রত্যায়ে এসএমপি পুলিশের সকল ইউনিটকে সক্রিয় করেছেন। সে অনুযায়ী, এসএমপির সকল থানা, ফাড়ি ও ডিবি ইউনিট অপরাধ দমনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। মাদক উদ্ধার ও অসামাজিক কার্যকলাপ দমনে এসএমপি সফল হয়েছে। কিন্তু চোরাচালান দমনে আংশিক সাফল্য এলেও সকল ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে না।গত এক সপ্তাহে এসএমপি পুলিশ সিলেটকে অপরাধমুক্ত করতে দুই শতাধিক বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। আর সিলেট নগরিকে অবৈধ যানবাহনমুক্ত করতে ৪৬৯টি গাড়ি আটক করেছে। পুলিশ ও অপরাধ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএমপি পুলিশ কমিশনারের চ্যালেঞ্জকে সফল করতে ভালো পুলিশ কর্মতারা কায়োমনেবাক্যে পালন করলেও কিছু পুলিশ অফিসার সঠিকভাবে কাজ করছে না।

অভিযোগ আছে, নিচের স্তরের কিছু ওসি, ইন্সপেক্টর সাব-ইন্সপেক্টর ও টহল টিমের ড্রাইভাররা চোরাচালান, জুয়া ও আবাসিক হোটেলে্র অপরাধীদের সঙ্গে গোপনে সখ্যতা গড়ে তোলেছে। এসএমপি সূত্র জানায়, অপরাধমুক্ত নিরাপদ সিলেট গড়ার প্রত্যয়ে এসএমপি পুলিশ অভিযানে ইয়াবা ২৫০ পিস, বিদেশী মদ ৫৮৭ বোতল, গাজা ২০০ গ্রাম, চোলাই মদ ১০২ লিটার জব্দ করেছে। চোরাচালান দমনে ভারতীয় শাড়ি ২০৭১ পিস, ভারতীয় চকলেট ৩১ প্যাকেট, স্কিন কেয়ার ক্রিম ১৬০০ পিস, ভারতীয় বিড়ি ১,৬৮,০০০ শলাকা, বিদেশী সিগারেট ৭৭০ প্যাকেট, ভারতীয় কম্বল ২০ পিস আটক করেছে। এসব চোরাচালান পণ্যের মূল্যমান কোটি টাকার অধিক। অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ১২

জনকে আটক করা হয়েছে। অনৈতিক কাজ জড়িত থাকার অপরাধে ৪টি আবাসিক হোটেল সিলগালা করা হয়েছে। এক সপ্তাহে মাদক ব্যবসায়ী ১৬ জনকে আটক করেছে এসএমপি পুলিশ। তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। চিহ্নিত চোর ২৪ জনসহ মোট দুই শতাধিক অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ যানবাহন প্রবেশ ঠেকাতে ৪৬৯টি যানবাহন আটক করেছে এসএমপি পুলিশ।পুলিশ ও জুয়াড়ি সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। অবশ্য, সেজন্য এসব জুয়াড়িদের কাছ থেকে যেসব পুলিশ টাকা সাপ্তাহিক খেতেন তারা নিজেদের লোক আগেই অভিযানের খবর দিয়ে সতর্ক করে দিয়ে জুয়ার স্পট বন্ধ রাখিয়েদেন। গেল সপ্তাহে এসএমপি পুলিশ বিভিন্ন জুয়ার স্পট থেকে ৪২ জন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে। এরা সকলেই কাটাকাটি ও শীলং তীর জুয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদেরকে প্রসিকিউসন অনুযায়ী ননএফআইআর মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এস.এম.পি পুলিশ সূত্র জানায়, ১ অক্টোবর শাহপরান থানা পুলিশের অভিযানে ১৪৪ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ আটক করা হয়। ৩ অক্টোবর আম্বরখানা ফাড়ি পুলিশের এস.আই মাসুদ মিয়া ৬ জন জুয়াড়ি আটক করেন। ৫ অক্টোবর আম্বরখানা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ১৫ পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেন। একই দিন শাহপরান পুলিশের এস.আই সজিব হোসেন ২৫ পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেন। ৭ অক্টোবর আম্বরখানা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ শেখ মো. মিজানুর রহমান বাদামবাগিচা থেকে ৭ জন জুয়াড়িকে আটক করেন। ৭ অক্টোবর শাহপরান থানার ওসি মো. মনির হোসেন কিটকেট চকোলেটসহ ২ জন চোরাকারবারিকে আটক করেন। একই দিন ওসি মনির হোসেনের টিম ৩১ পিস ভারতীয় কাতান শাড়িসহ একজন কে আটক করে। ওই দিন মোগলাবাজার থানার এস.আই নুর উদ্দিন ৪০ পিস ইয়াবাসহ একজন কে আটক করেন। ৮ অক্টোবর এস.এম.পির ডিবি পুলিশ দক্ষিণ সুরমার চাদননিঘাট মাছ বাজার থেকে ৫ জন শীলং তীর জুয়াড়ি আটক করে। ৫ অক্টোবর মোগলাবাজার থানার এস.আই এনামুল কবির ৪ জন জুয়াড়িকে আটক করেন। একই দিন এয়ারপোর্ট থানার এস.আই মো. মাসুদ ২০০ পিস ইয়াবাসহ একজন কে বিক্রেতাকে আটক করেন। ১০ অক্টোবর শাহপরান থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানার যৌথ অভিযানে বালুচর এলাকার কিশোর গ্যান্ড লিডার বুলেট মামুনকে দুই সহযোগীসহ আটক করে। ১১ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমা থানার কদমতোলি বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস.আই সুমন চক্রবর্তী ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ একজন বিক্রেতাকে আটক করেন। ওই দিন শাহপরান থানার শাহজালাল উপশহর পুলিশ ফাড়ির এস.আই খন্দকার জাফর ইমাম দুই কেজি গাঁজাসহ একজন কে আটক করেন।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ