শিরোনাম
সিলেটের নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দিলেন কাজী আখতার উল আলম সোসাইটি অব জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার অভিষেক ও আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত।  সুনামগঞ্জে নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে” জেলার চোরাকারবারি, মাদকসহ সবধরনের অপরাধ দমন করার আশ্বাস প্রদান করেন—নবাগত পুলিশ সুপার   বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে দিরাই বিএনপির ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দিরে প্রার্থনা সভা সুনামগঞ্জে খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বহাল ও নীতিমালা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন সুনামগঞ্জে দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এড.নুরুল ইসলাম নুরুল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় মানিকগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। মল্লিকপুর বগি লাইনচ্যুত: তেলবাহী ওয়াগন ছিলো খালি তাই হয়নি ক্ষয়ক্ষতি  বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্থতা কামনা করে সুনামগঞ্জ-৪(সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) বিভিন্ন মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে তালহা রেস্ট হাউজে ডিবির অ ভি যা ন ৫ জন গ্রে ফ তা র
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে রাতের আঁধারে অবাধে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

স্টাফ রিপোর্টার / ১৮১ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে রাতের আঁধারে অবাধে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব!

 

বিশেষ প্রতিবেদক::: জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ বালু উত্তোলন চলছে দেদারসে, যা পরিবেশের ক্ষতি করছে এবং স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসন অবৈধ উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও,জয়নাল,সাইল,জলিল বিজিবিকে ম্যানেজ করে সিন্ডিকেট সদস্যরা রাতের অন্ধকারে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। 

উপজেলার জাফলং জিরো পয়েন্ট ইজারাবিহীন ইসিএ সংকটাপন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।এই অবৈধ কার্যক্রমে নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

জাফলং জিরো পয়েন্ট, ডাউকি নদী, বালির বুধিগাঁও হাওরসহ ইজারাবিহীন ইসিএ ভুক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে ডেজার মেশিনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি করে বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা এবং ইজারাবিহীন এলাকা থেকে উত্তোলিত বালুর স্তূপ জব্দ করে দূষণকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন স্থানীয়রা।তবে গোয়াইনঘাট উপজেলার উল্লিখিত এলাকাগুলোতে বালু উত্তোলনের কোনো বৈধ ইজারা দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও বিজিবিকে ম্যানেজ করে জয়নাল,সাইল,জলিল চক্র

ব্যাপক পরিমাণে বালু উত্তোলন করছে, যা নদীর তীরে ভাঙন সৃষ্টি করছে এবং কৃষিজমি ধ্বংস করছে।স্থানীয় প্রশাসন কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বালু জব্দ করলেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা এলাকাবাসীকে হুমকি দিচ্ছে এবং যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।

ইতিমধ্যেই লাখ লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে বল্লাঘাট জিরো পয়েন্টের মধ্যবর্তি বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত জায়গার উপর স্তূপ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা। এই বালু জব্দ করে নিলামের আওতায় আনা না হলে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মহল। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (২০২৩ সালের সংশোধনীসহ) লঙ্ঘন করে  জয়নাল,সাইল,জলিল তাদের সহযোগীরা বালু উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জেলা প্রশাসকের কাছে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে নদী, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে জিরো পয়েন্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পর্যটন নির্ভর এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা শঙ্কিত। এখন প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপই পারে এই অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করে এলাকার পরিবেশ ও জনজীবন রক্ষা করতে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত জয়নাল মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায়নি।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ