মানুষরূপী অমানুষ মুক্ত সমাজ চাই আতাউর রহমান পীর
শাহান উদ্দীন নাজু :: লেঃ কর্নেল (অবঃ) এম আতাউর রহমান পীর সাবেক অধ্যক্ষ মদন মহন সরকারী কলেজ সিলেট। দয়া, সহানুভূতি ও ক্ষমাশীলতা—এই তিনটি গুণ মানবতার শ্রেষ্ঠ অলংকার। হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম (যীশুখ্রিস্ট) মানুষকে শিখিয়েছিলেন তোমার এক গালে কেউ চড় দিলে, তুমি অন্য গালটি পেতে দাও।এই শিক্ষা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—মানুষের মর্যাদা প্রতিশোধে নয়, বরং সহনশীলতা ও ক্ষমার মধ্যেই নিহিত।একজন কবি বলেছেন—“কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়, তাই বলে কুকুরের পায়ে কামড় দেওয়া কি মানুষের শোভা পায়?” এই বাণী আমাদের শেখায়, অন্যের অন্যায় আচরণে নিজেকে হারিয়ে ফেলা নয়, বরং নিজের মানবিকতা অক্ষুণ্ণ রাখাই প্রকৃত মহত্ত্ব।
তবুও আজকের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের চেহারায় মানুষ দেখা যায়, কিন্তু হৃদয়ে সেই মানবিকতা নেই। এরা হিংসা, প্রতারণা, অন্যায় ও স্বার্থপরতায় নিমজ্জিত। তারা সত্য ও ন্যায়ের পথ ত্যাগ করে নিজের স্বার্থে অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দ্বিধা করে না। তবে সমাজে প্রচলিত একটি প্রবাদ হলো— “ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।” অর্থাৎ অন্যায় করলে তার প্রতিফল একদিন না একদিন ভোগ করতেই হয়—এটাই বাস্তবতা।
মানুষরূপী অমানুষেরাই সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, নৈতিকতার ভীত দুর্বল করে এবং মানবতার চেতনাকে ধ্বংস করে দেয়। তাদের জন্য কেবল উপদেশ যথেষ্ট নয়; সমাজে ন্যায় ও শৃঙ্খলার দৃঢ় প্রয়োগ প্রয়োজন। কখনো কখনো কঠোর শাস্তিই হয় ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার মাধ্যম, যাতে অন্যরা শিক্ষা নিতে পারে। তাইতো প্রবাদে আছে তবে মানবতার মূল আদর্শ হলো ন্যায় ও করুণা।প্রতিশোধ নয়, ক্ষমা; শাস্তি নয়,সংশোধন; ঘৃণা নয়, সহানুভূতি/ভালোবাসা।
সমাজকে মানবিক ও শান্তিপূর্ণ করতে হলে প্রতিটি মানুষকে নিজ অন্তরে মানবতার আলো জ্বালাতে হবে। তখনই গড়ে উঠবে রোটারির কাঙ্ক্ষিত সেই পৃথিবী— যেখানে ন্যায়, শান্তি ও মানবতার সুরে ভরে ওঠবে পৃথিবী,গড়ে ওঠবে শান্তিময় বিশ্ব।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin