শিরোনাম
সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনে এলাকাবাসীর অভিযোগ সিলেট নগরীর আম্বরখানায় যুক্তরাজ্য প্রবাসীর দোকান কোঠা আত্মসাতে ১ জন গ্রেফতার হরিরামপুর চরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত। নজিবুর রহমান নজিবের সাথে সিলেট জেলা তাঁতীদলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ   দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা সভায় ইউএনও সিলেট-ঢাকা ৬ লাইন মহাসড়ক কাজের দ্রুত  অগ্রগতির ব্যাপারে প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক সিলেটে ডিসিকে স্মারকলিপি,শেষে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ  দোয়ারাবাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি মানিকগঞ্জের তিন আসনেই সমান জনপ্রিয় আফরোজ খানম রিতা।  সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বিএনপির জনসভায় সম্ভাব্য ধানের শীষের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল নবীগঞ্জের জাহাঙ্গীর রানাকে নিউইয়র্কে সংবর্ধনা প্রদান 
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনে এলাকাবাসীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার / ১৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনে এলাকাবাসীর অভিযোগ

 

বিশেষ প্রতিবেদক:: সুরমা নদীতে বালু লুটপাটে প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সিলেটের সুরমায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলছে নদীভাঙন সৃষ্টি করে বালু তোলার মহোৎসব। স্থানীয়দের অভিযোগ সিলেটের সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে চরম দুর্ভোগে পড়েছে । তাদের অভিযোগ, কিছু ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে নদীর তলদেশসহ উভয় তীর থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালু তুলছেন, যার ফলে ভয়াবহ নদীভাঙনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেক স্থানে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

 

 

 

অভিযোগ অনুযায়ী, সিলেট নগর এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীরা একটি ইজারার সুযোগ নিয়ে জকিগঞ্জের নওয়াগাঁও মৌজায় আড়াই একর জায়গায় বালু উত্তোলনের অনুমতি নিলেও বাস্তবে তার বাইরে বিস্তীর্ণ এলাকায় ড্রেজার ও বাল্কহেডের মাধ্যমে প্রতিদিনই বালু তোলা হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কায়স্তগ্রাম থেকে বড়দেশ বাজার পর্যন্ত কয়েকশ একর জায়গাজুড়ে এই কার্যক্রম চলমান।

 

 

 

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ সাকশন ড্রেজারের মাধ্যমে প্রতিদিন একাধিক নৌযানে বালু পরিবহন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নদীর গতি প্রকৃতি বদলে গিয়ে ভাঙন বাড়ছে। তারা দাবি করেন, এসব বালু বিক্রির অর্থ দেশের বাইরেও পাচার হতে পারে।

জানা গেছে, সাদাপাথর কাণ্ডের পর সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক জেলার সর্বত্র অবৈধ বালু-পথর উত্তোলন বিক্রয় ও বিপননে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। কিন্তু ডেভিল আফতাব ও তার লুটেরা বাহিনী এ নিষেধাজ্ঞার কোনো তোয়াক্কা না করেই সুরমার বালু-মাটি লুটপাট অব্যাহত রেখেছে।

 

 

আরো জানা যায়, মোঃ আফতাব ওরফে বালু আফতাব ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে দায়ের করা একটি বিস্ফোরক মামলার ১৭৪নং এজাহার নামীয় পলাতক আসামী। যা’ এসএমপির কোতোয়ালি থানার মামলা নং-০৬/২৭১ তাং-০৫/০৬/২০২৫।

মামলায় পলাতক থেকেও আফতাব বীরদর্পে সুরমায় চালিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ বিধ্বংসী তান্ডব। অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তাকে ধরছে না বলে অভিযেগে প্রকাশ।

 

 

এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে সিলেট জেলায় বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর ও কেউ যদি আদেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন ও বিক্রয় করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ