শিরোনাম
সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনে এলাকাবাসীর অভিযোগ সিলেট নগরীর আম্বরখানায় যুক্তরাজ্য প্রবাসীর দোকান কোঠা আত্মসাতে ১ জন গ্রেফতার হরিরামপুর চরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত। নজিবুর রহমান নজিবের সাথে সিলেট জেলা তাঁতীদলের সৌজন্যে সাক্ষাৎ   দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংখলা সভায় ইউএনও সিলেট-ঢাকা ৬ লাইন মহাসড়ক কাজের দ্রুত  অগ্রগতির ব্যাপারে প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক সিলেটে ডিসিকে স্মারকলিপি,শেষে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ  দোয়ারাবাজারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি মানিকগঞ্জের তিন আসনেই সমান জনপ্রিয় আফরোজ খানম রিতা।  সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বিএনপির জনসভায় সম্ভাব্য ধানের শীষের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী কামরুজ্জামান কামরুল নবীগঞ্জের জাহাঙ্গীর রানাকে নিউইয়র্কে সংবর্ধনা প্রদান 
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

সদর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই ফারুকুল কে ম্যানেজ করে চলেছে বালু উত্তোলন নৈপথ্যে আওয়ামীলীগ নেতা তাজউদ্দীন মেম্বার।

স্টাফ রিপোর্টার / ৬০৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

সদর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই ফারুকুল কে ম্যানেজ করে চলেছে বালু উত্তোলন নৈপথ্যে আওয়ামীলীগ নেতা তাজউদ্দীন মেম্বার।

বিশেষ প্রতিবেদক::গোয়াইনঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈনাগাং ও গোয়াইনঘাটের বালির হাওর, এবং লাঠি গাং থেকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি/ সদস্য তাজউদ্দীন মেম্বারের সিন্ডিকেট এর নেতৃত্বে প্রতিদিন দিন-রাতে শতশত নৌকাযোগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু উত্তোলনের কারণে স্থানীয় নদী ও ফসলি জমিও লুনি গ্ৰাম খেলার মাঠ হুমকিতে পড়ছে এবং বসতবাড়িও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গোয়াইনঘাটের লুনি গ্ৰামের খৈনা গাং, বালির হাওর, এবং লাঠি গাং-এ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, যা পরিবেশ ও জনবসতির জন্য হুমকিস্বরূপ। এই অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার বসতবাড়ি, ফসলি জমি এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের সভাপতি প্রভাবশালী নেতা তাজউদ্দীন মেম্বারের সিন্ডিকেট চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন এ বালু উত্তোলন করছে।ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে অবৈধভাবে নৌকাযোগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উওোলন করায় নদী পাড়ের শত শত বিঘা ফসলী জমি বাড়িঘর হুমকিতে পড়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের লুনি গ্ৰামের খৈনা গাং ও গোয়াইনঘাটের বালির হাওর, এবং লাঠি গাং নদীতে চলছে অবৈধ এ কর্মযজ্ঞ। অবৈধভাবে বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। তেমনি ইজারা বহির্ভূত জায়গা থেকে দেদারসে বালু উওোলনের ফলে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। স্থানীয়রা অবৈধভাবে বালু উওোলনের নৌকা ও ড্রেজার বন্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

অনুসন্ধানে ওই এলাকায় পরিচয় গোপন রেখে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান । স্থানীয়রা জানান

আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি তাজউদ্দীন মেম্বার ও স্থানীয় বিট অফিস এসআই ফারুকুল এর সাথে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি করছে

প্রতিনিয়ত, উপজেলার প্রশাসন অভিযানে আসার আগে এসআই ফারুকুল ফোন করে জানিয়েদেন আমরা আসছি অভিযানে, তোমরা সরে যাও তাই রাঘব বোয়ালরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকেন। আর সাধারণ শ্রমিক দের আটক করে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো ব্যবস্থা করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, গোয়াইনঘাট থানার স্থানীয় সদর ইউনিয়নে দায়িত্বরত বিট পুলিশ অফিসার ফারুকুল কে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে বালু লুট।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ হচ্ছে, লুটের ভাগ পেয়ে থাকেন থানার ওসি ও ইউএনও, আর রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার, এদিকে ধ্বংস হচ্ছে গোয়াইনঘাটের নদীর প্রতিবেশ।

এদিকে, সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় যখন সারাদেশে চলছে তুলপাড়।লুটকারীদের সনাক্ত করতে গঠিত হয়েয়ছে একাধিক তদন্ত কমিটি।কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় বদল করা হয়েছে ওসি-ইউএনসহ সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসককে।

একই ভাবে জেলার আরেকটি পাথর কোয়ারী গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ১১নং মধ্যে জাফলং,২নং পশ্চিম জাফলং ১ নং রুস্তমপুর ও ১৩ বিছানাকান্দি পাথর কোয়ারীর ইসিও এলাকায়সহ বিভিন্ন নদ-নদী থেকে পাথর লুটসহ অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় সেই থানা থেকে বদলী করা হয়েছে থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ সহ কয়েকজন এসআইকে।

যারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিট অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন গোয়াইনঘাট থানায় নতুন ওসি হিসাবে যোগ দিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশে কর্মরত ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিট এলাকায় বন্টন করে দিয়েছেন,নতুন বিট অফিসারদের।

প্রতিদিন জাফলং জিরো পয়েন্টে পাথর লুট এলাকায় নজরধারী করছেন স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তবুও থেমে নেই গোয়াইনঘাটে নদ-নদী থেকে অবৈধ বালু লুটপাট।

দায়িত্ব পেয়েই নতুন বিট অফিসাররা সরাসরি জড়িয়ে পড়ছেন অবৈধ বালু উত্তোলনসহ চোরাকারবারের সাথে। গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাজিপুর উত্তর প্রতাপপুর পিয়াইন নদী থেকে চলছে অবৈধ ভাবে বালু লুটের ঘটনা। দীর্ঘ ১মাস থেকে সরকারী কোন ইজারা ছাড়াই একটি সিন্ডিকেট মিলে প্রতিদিন ও রাতে প্রায় কয়েক লাখ মণফুট বালু লুট করে নিচ্ছেন।

যদিও উপজেলা প্রশাসন বলছে, ১২নং সদর ইউনিয়নের লুনি গ্ৰাম এলাকায় ইজারা বহির্ভূত বালুমহাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৪ জন শ্রমিককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ হচ্ছে, লুটের ভাগ পেয়েছেন ইউএনও, আর রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার ও ধ্বংস হচ্ছে গোয়াইনঘাটের নদীর প্রতিবেশ। ডাউকির মুখ থেকে পশ্চিম দিকে সংগ্রামপুঞ্জি, লামাপুঞ্জি, নকশিয়াপুঞ্জি, প্রতাপপুর পুঞ্জি, হাজিপুর বাজার, লাঠি, কালিজুড়ি, লাবু, পরগনা, আহারকান্দি, আমবাড়ি, পর্ণগ্রাম, মনরতল, বগলকান্দি, বুজারকান্দি, মনইকান্দি, ইসলামাবাদ, মুরামুরিখাল, পান্থুমাই, বাবুরকোনা পর্যন্ত এর ভিতরে আরও প্রায় ২৫ কিলোমিটার ইজারা দেওয়া হয়নি। কিন্তু এসব বালু মহাল থেকে গেল দুই বছরে ১৫ কোটি টাকার বালু লুট করে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো এবং সত্যা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

একই ব্যাপারে জানতে বিট অফিসার এস আই ফারুকুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা বলে তিনি বলেন, অভিযোগ থাকবে ভাল করলে ও থাকবে আর মন্দ করলে ও থাকবে করার কিছু নাই এই বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে তাজউদ্দীন মেম্বারের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করে ফোন কেটে দেন  তাই বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ