গোয়াইনঘাটের ডালারপাড় নদীর বালুবাহী নৌকা থেকে ফারুক মেম্বারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ!
বিশেষ প্রতিবেদক:সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ডালারপার নদীতে সাবেক ওয়ার্ড সদস্য ফারুক উরফে ফিরকা ফারুক শ্রমিক সংগঠন এর নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া, অতিষ্ঠ স্থানীয় নৌ শ্রমিক।
দীর্ঘ ৩ মাস যাবত ফারুক মেম্বার তার লাটিয়াল বাহিনী দিয়ে নদীতে চাঁদাবাজি করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রতি নৌকা থেকে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করে অর্ধশতাধিক নৌকা থেকে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা করে মাসে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।নৌ শ্রমিক চাঁদা না দিলে ফারুক মেম্বার তার লাঠিয়াল বাহীনি দিয়ে মারপিট করে ও নৌকার আসবাবপত্র নিয়ে যায়।
বিগত কয়েকদিন পুর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলার এসিলেন্ড অভিযান চালিয়ে কয়েকজন বালুখেকো কে গ্রেফতার করলে কয়েকজন শ্রমিক দাবি করেন ফারুক মেম্বার তাদের কাছ থেকে পুলিশের নামে চাঁদা নেন।স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর উটে আসলেও ফারুক মেম্বার এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ফারুক মেম্বার এর চাদাবাজী থেকে মুক্তি চায়।
বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, ফারুক মেম্বার এর একটি বিরাট লাটিয়াল বাহিনী রয়েছে, সেই বাহিনীর সদস্যরা- গোয়াইনঘাট উপজেলা পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনরতল বাজার ঘাট থেকে ও ফজলু, ফরিদ ও কাদির মেম্বারকে দিয়ে চাঁদা উত্তোলন করানো হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় তারা দাঁড়িয়ে বালু বহনকারী নৌকা থেকে ২০০০-৩০০০ টাকা করে পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে মাসে মোট ১৫,০০,০০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফারুক গং রা।এদের মূল গড ফাদার হচ্ছে ফারুক মেম্বার। এভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফারুক মেম্বার হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা।এব্যপারে বালু খেকো ফারুক মেম্বার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তাহার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং এর বালু খেকো ফারুক মেম্বার এর নামে অনেক তথ্য সূত্র, ডকুমেন্টস, ভিডিও ফুটেজ থাকার পরেও কেনো আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না, তা বুধগম্য নয় সাধারণ মানুষের। কিভাবে সে রেহাই পেয়ে যায় ভাবতে পারছেননা তারা।