বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা-নোয়াগাঁও রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বিশিষ্টজনের আহবান
বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধিঃ ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৪১ টাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট তহবিল থেকে ব্যয় সাপেক্ষ বিশ্বনাথের টেংরা থেকে নোয়াগাঁও ২৪ শত মিটার পাকারাস্তা সংস্কার কাজ ১৭ আগস্ট (২০২৫) শুরু হয়েছিল।
একদিন কাজ করারপর সংলিস্ট ঠিকাদার পরদিন থেকে কাজের লোকজন উঠিয়ে নেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানান আলোচনা, সমালোচনা ও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
কাজ শুরুর এক সপ্তাহ পর থেকে যখন দৃষ্টি গোচর হলো সচেতন মহলের তখনই ওই প্রতিবেদক উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদের দফতরে প্রশ্ন উত্তাপন করেন কেন ঠিকাদার কাজের লোকজন উঠিয়ে নিলো।
এ বিষয়ে চমৎকার ভাষায় জানিয়ে দিলেন প্রকৌশলী আবু সাঈদ, এক সপ্তাহ পর লোকজন কাজে আসবে এবং কাজ ধরবে। এভাবে তিনি একাধিক সময় নিয়েছেন কিন্তু ঠিকাদার এখনো কাজ ধরেননি।
১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদের কাছে বিষয়টি আবারও জানতে চাইলে তিনি জানান, ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার অথবা ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন। তখন এ বিষয় নিয়ে এভাবেই 'টেংরা বার্তা' সংবাদ পরিবেশন করে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবারও সংবাদ তৈরীতে বাধ্য হয়েছে ওই প্রতিবেদক। উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ তিনি আবারও কিছু সময় নিয়েছেন।
এ বিষয়ে রাস্তা সংস্কার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, এলাকার কিছু রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার কিছু বিশিষ্টজনেরা।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক একাধিক বারের চেয়ারম্যান লিলু মিয়া বলেন, কাজ শুরুর পর কেন কাজ বন্ধ হলো? রাস্তার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি বিশ্বনাথ পৌরসভার নায়েবে আমির আব্দুস সোবহান বলেন, কাজ ধরতে ঠিকাদার কুচক্রী মহল কর্তৃক কোন ধরনের বাধায় যদি শিকার হন। তাহলে ঠিকাদার বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে প্রকাশ করুন এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে তিনি রাস্তার কাজের বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখার আহবান জানান।
অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান লিটন বলেন, আমি চাই এই রাস্তাটি লালাবাজার থেকে বিশ্বনাথ পর্যন্ত বাইপাস সড়কে পরিণত করতে।
এই লক্ষ নিয়েই আমি এ বছরের প্রথম দিকে নোয়াগাঁও থেকে লালাবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি দু' পাশে মাটি ভরাট করে ২৪ ফুটে পরিণত করেছি।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি দাবী হচ্ছে আমাদের এই ২৪ ফুটের মধ্যে ১৮ ফুট পাকারাস্তায় পরিণত করা এবং সংস্কার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার আহবান জানিয়েছেন তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট ব্রাঞ্চের যুগ্ন পরিচালক আল জাহান বলেন, এই রাস্তায় দীর্ঘ দিন চলাচলে অত্র এলাকার অধিবাসীরা চরম দুর্ভোগ অতিবাহিত করতে হয়। গত ১৭ আগস্ট যেহেতু সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে পরদিন থেকে কেন কাজ বন্ধ হলো? তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান রাস্তাটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে।
যার একান্তু প্রচেষ্ঠায় এ ব্যয় বহুল কাজটি ২০২২ সালে তৎকালীন এমপি মোকাব্বির খাঁনের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে রাস্তাটি সংস্কারের মঞ্জুর করান তিনি হচ্ছে সিলেটের বিশিষ্ট ট্রাভেল ব্যবসায়ি টেংরার কানাডা প্রবাসী আমিরুল গণী চৌধুরী মিনহাজ।
তিনি বলেন, লালাবাজার থেকে টেংরা হয়ে নোয়াগাঁও পর্যন্ত পাকারাস্তাটি ২০২২ সালে এমপি মোকাব্বির খাঁনকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছিলাম রাস্তাটি সংস্কার করণে। এমপি আমার অনুরোধ রক্ষা করেছেন।সে জন্য এমপিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মিনহাজ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে টেংরার পশ্চিমের মোবাইল টাওয়ার থেকে নোয়াগাঁও পর্যন্ত ২৪শত মিটার পাকারাস্তা সংস্কারের বরাদ্ধ হয়েছে এবং সে অনুয়ায়ী গত ১৭ আগস্টও কাজও শুরু হয়েছে কিন্তু পর দিন থেকে কেন কাজ বন্ধ হলো? এতে কোন কুচক্রী মহল কোন ধরনের ফয়দার পায়তারা করছে কিনা তা এলাকাবাসীকে খতিয়ে দেখার আহবান জানান।
মিনহাজ চৌধুরী আরো জানান, বর্তমানে নোয়াগাঁও থেকে টেংরা পশ্চিমের মোবাইল টাওয়ার পর্যন্ত ২৪শত ফুট সংস্কার কাজের অনুমোদন হয় এর পর সেখান থেকে লালাবাজার পর্যন্ত অন্য প্রকল্পে সরকারের সংলিস্ট দফতর থেকে অবশিষ্ট রাস্তা অনুমোদিত হয়েছে তা ক্রমাননূয়ে সংস্কার হবে।
বিশ্বনাথ পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে বিশ্বনাথে আসা যাওয়াতে খুবই কষ্ট হয়। সংস্কার কাজ শুরু করলো ঠিকাদার গত ১৭ আগস্ট কিন্তু পরদিন দিন থেকে
কেন কাজ বন্ধ করে লোকেরা চলেগেল? তাই সরকারের সংলিস্ট মহলের প্রতি কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার আহবান জানাচ্ছি।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ নিজাম উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক : আইয়ুব আলী অফিস ; খান কমপ্লেক্স, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সিলেট। যোগাযোগ : প্রকাশক ও সম্পাদক : ০১৭৩৭-৩০৪৭৫১। ই-মেইল : sylhetbuletin@gmail.com
All rights reserved © 2025 sylhet buletin